Skip to content

যকৃতের বিরল অসুখে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যু,মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যারাকপুরের বাসিন্দা শুচিস্মিতা কুণ্ডু ২১ বছরের তরুণী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া। ২০১৪ সালে পর পর দু’বার এবং ২০১৫-এ এক বার জন্ডিসে আক্রান্ত হন ওই তরুণী। পরে যকৃতের বিরল অসুখ অটোইমিউন লিভার ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত হয়। একমাত্র চিকিৎসা ছিল যকৃৎ প্রতিস্থাপন। কিন্তু শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, সেই অস্ত্রোপচার করা কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না। ক্রমশ ব্রেন ডেথের দিকে এগোচ্ছিলেন। চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন মরণোত্তর অঙ্গদানের। বাবা-মাকে বিষয়টি বলতেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য আদরের বড় মেয়েকে তাঁরা বাঁচিয়ে রাখতে চান অন্য রোগীকে অঙ্গদান করে বাড়িতে এমনই চিন্তাভাবনা করে হাসপাতালে এসেছেন। সেই রকম কাজও শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সোনারপুরের লিভার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানান,‘‘ব্রেন ডেথ নিশ্চিত জানানোর পরে ওঁরা আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমরা মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রসঙ্গ তুলতেই ওঁরা জানিয়ে দেন, এমন চিন্তাভাবনা করেই হাসপাতালে এসেছেন।’’ এ দিন বিকেলে শুচিস্মিতার ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। মরণোত্তর অঙ্গদানের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘রিজিয়োনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন’(রোটো)-এর কাছে। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী পাশাপাশি এলাকায় রক্তদান, মরণোত্তর অঙ্গদানের মতো কর্মসূচিতে যুক্ত  বাবা শুভজিৎ কুণ্ডু জানান, "মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী সুমিতা বাড়ি ফিরে তাঁদের বড় মেয়ে শুচিস্মিতার ব্রেন ডেথের কথা জানান। এর পরেই স্ত্রী, ছোট মেয়ে শুভমিতা আর আমি, তিন জনে বসে আলোচনা করি, এখন কী করা উচিত। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিই, রেশমীকে (শুচিস্মিতা) তো আর ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু মরণোত্তর অঙ্গদানের মধ্যে দিয়েই ওকে সকলের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে পারব।’’

Latest