Skip to content

সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গড়বেতা বন্যাকবলিত এলাকায় এসে দুর্গত মানুষদের কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : দুই দিনের অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের তিন জেলায় — বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে।একাধিক গ্রাম কার্যত বন্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। সিমলাপালের ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের শিলাবতী নদীর সেতুর চার ফুট উপর জল প্রবাহিত হয়েছিল।

মেদিনীপুর বাঁকুড়া যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের সাত নম্বর বেনাচাপড়া অঞ্চলের মাইতা, ঠাকুরানিতলা, কেউতড়া, ইঁদুরডাঙ্গা, ৮ নম্বর অঞ্চলের নেপুরা, কয়তা সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন, কয়েকশো কৃষি জমি জলের তলায়, তবে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী ,পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গে নিয়ে এলাকা চষে বেড়ালেন সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।রাজ্য সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গড়বেতা বন্যাকবলিত এলাকা ব্রাহ্মণগ্রামে এসে দুর্গত মানুষদের কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এদিকে,বৃষ্টির জলে থৈ থৈ করছে ভেঙে পড়েছে বাড়ি, স্বামী দুই ছেলেকে নিয়ে কিভাবে থাকবে।

কিভাবে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি ঘটবে সে আশায় প্রহর গুনছেন ভৈরববাঁকী, তারাফেনি। গড়বেতার মাইতা, কৈতা গ্রামে শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টির জল নামতে শুরু করেছে। এক মহিলা বলেন এমন বন্যা আমি কোনদিন দেখিনি তবে এই বন্যায় আমার বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র এমনকি ছেলে মেয়ের জামা কাপড় বই সমস্ত জিনিসপত্র বয়ে চলে যাই এই জলের তরে।এখন সরকারের কাছে আবেদন যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বেঁচে ওঠার জন্য সাহায্য করে।

অন্যদিকে ঘাটাল মহকুমাতে বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে প্রশাসনের জানালেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। চন্দ্রকোনার পর এবার ঘাটালে শহর অর্থাৎ পৌর এলাকার নিচু ওয়ার্ডগুলিতে জল ঢোকার শুরু হওয়ার পাশাপাশি ঘাটাল ব্লকের বন্যাপ্রবণ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে নদীর জল ঢোকা শুরু হয়েছে

Latest