Skip to content

গোয়ালতোড় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান তরুণ অধ্যাপক রাজ কুমার দাসের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া!

নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় এস,বি,এস,এস মহাবিদ্যালয় এর বাংলা বিভাগের প্রধান তরুণ অধ্যাপক রাজকুমার দাস ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাতে ভেলোরে মারা যায়। তাই ওই তরুণ অধ্যাপক এর অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত গোয়ালতোড় কলেজের ছাত্র ছাত্রী, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা, শিক্ষক শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীগণ,পরিচালক কমিটির সদস্যগণ সহ এলাকার বাসিন্দারা। গোয়ালতোড় কলেজের অধ্যক্ষ অমিত ফাদিকার ও কলেজের পরিচালক কমিটির সভাপতি তথা বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা অঞ্জনা মাহাতো বলেন ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খুব অল্প বয়সে অধ্যাপক রাজকুমার দাসের মৃত্যু আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ৩৫ বছর বয়সী তরুণ অধ্যাপক রাজকুমার দাস বাবা মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ দাস একমাত্র ছেলের অকাল মৃত্যুতে একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়িতে তার বাবা মা রয়েছেন, একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জগদীশ দাস ও তার স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে সুখে ছিলেন। কিন্তু একমাত্র ছেলে অধ্যাপক রাজকুমার দাসের মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যে গোটা পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। গত ২৯ শে জুন হঠাৎ শরীর খারাপ হয় রাজকুমার দাসের,তার জ্বর না কমায় তার পরিবারের লোকেরা তাকে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার টাইফয়েড হয়েছে বলে ডাক্তার বাবুরা জানায়। কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার জ্বর না কমায় তার পরিবারের লোকেরা তাকে চেন্নাইএর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গত রবিবার ভেলোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে তার ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ভেলোরের ওই হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে তার পরিবারের লোকেরা অধ্যাপক রাজকুমার দাস কে বাড়ি ফিরিয়ে আনছিলেন।বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। যার ফলে তার আর জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফেরা হলো না। তবে তিনি বাড়িতে ফিরলেন নিথর হয়ে। যার ফলে তার পরিবারের পাশাপাশি পিংলা থানার পুরুষোত্তমপুর গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছোট থেকে পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল এবং এলাকার মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ছিল ভালো।তাই তরুণ অধ্যাপক রাজকুমার দাসের অকাল মৃত্যু মন থেকে এলাকার কেউ মেনে নিতে পারছে না। তার পরিবার সূত্রে জানা যায় যে ভেলোর থেকে দেহ গ্রামে নিয়ে আসার পর গ্রামেরই শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

Latest