নিজস্ব সংবাদদাতা: কেশপুর ব্লকের মন্তা গ্রামে মন্তা ডিজিটাল ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে রবিবার অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির।উৎসবে আবহে রক্তদান শিবির আয়োজনের ক্ষেত্রে এটি ছিল মন্তা ডিজিটাল ক্লাবের সপ্তম প্রয়াস। শিবিরে ১১ জন মহিলা সহ ৫০ জন রক্ত দেন।রক্তদান শুরু করলেন এলাকার তরতাজা ১৮ জন যুবক-যুবতী।সকাল থেকে রক্তদান শিবির ঘিরে এলাকায় বিপুল সাড়া লক্ষ্য করা যায়। মন্তা ডিজিটাল ক্লাবের সদস্য তথা কেশপুর ব্লকের মোহবনী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার, ডা: নাজমুল মল্লিক ও তাঁর সাথী সদস্য-সদস্যাবৃন্দ মন্তা গ্রামে রক্তদান শিবিরটি সফল করতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এদিনের শিবির সফল করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা রক্তদাতাদের শিবিরে নিয়ে আসেন।
এমন প্রয়াস লক্ষ্য করে উপস্থিত অতিথিবর্গ চমৎকৃত হন। মন্তা ডিজিটাল ক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব জানান,"একে অন্যের পাশে থাকার যে বার্তা ঈদ-উল -আজহা উৎসব গ্রহণ করতে বলে সেই ভাবনায় আমাদের এই রক্তদান শিবির। রক্তদাতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম ৪০ জন। সেখানে রক্ত দিলেন ৫০ জন । এ আমাদের পরম পাওয়া।"ক্লাবের সম্পাদক সারেফুল আলম খুশিতে বলেন, " ঈদ -উল-আজহা আবহে প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা রক্তদান শিবির আয়োজন করেছি। থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আমাদের সবার ইচ্ছে আগামীদিনে এলাকায় একটি থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় শিবির আয়োজন করার।" রক্তদান শিবিরে মহিলাদের রক্তদানে অংশগ্রহণ ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
উল্লেখ্য কেশপুর ব্লকের মন্তা ডিজিটাল ক্লাব বছরজুড়ে এলাকায় ক্রীড়া -সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি বিবিধ সরকার নির্ধারিত সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ ও রূপায়ণ করে থাকে। স্থানীয় মন্তা জুনিয়র হাইস্কুলে শিবিরটি সংগঠিত হয়।রক্ত সংগ্রহে ছিল শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।মন্তা ডিজিটাল ক্লাবের এইধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রক্তদান আন্দোলনের কর্মী, কেশপুরের গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী।
