সেখ ওয়ারেশ আলী : আমরা দেখছি ১০ লক্ষ মানুষের বয়স ১০০-র উপরে, জাপানে বাড়ছে শতায়ুর সংখ্যা। নতুন রেকর্ড গড়েছে প্রাচ্যের এই দেশ। এখন SIR ইস্যুকে ঘিরে যখন গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় বাংলা, ঠিক সেই সময়ে খড়গপুর বিধানসভা এলাকার ছেড়ুয়া গ্রামের খাটপাড়ায় যেন অন্য এক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন শতায়ু প্রবীণা নেজিমা বিবি।পরিবারের দাবি, তাঁর বয়স আজ প্রায় ১২০ বছর। আধার কার্ডে যদিও উল্লেখ রয়েছে ১০০ বছর, তবুও নেজিমা বিবির শারীরিক সক্ষমতা ও অদম্য মানসিক শক্তি দেখে এলাকাবাসীর ধারণা—বয়স তাঁর কাছে সত্যিই কেবল একটি সংখ্যা মাত্র।

বাড়ির লোক জানিয়েছেন, নেজিমা বিবি এখনও দিব্যি হাঁটা চলা করেন, নিজের কাজ নিজেই করেন, এমনকি বাড়ির কিছু দৈনন্দিন কাজও সামলে নেন। গত নির্বাচনের মতো এবারও তিনি পায়ে হেঁটেই ভোট দিতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। এই মুহূর্তে তিনি এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করে ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে।স্থানীয় এলাকার মানুষজন জানালেন, নেজিমা বিবি আমাদের গর্ব। এই বয়সেও তাঁর ভোট দেওয়ার ইচ্ছা ও সচেতনতা আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত।

শতবর্ষ পেরিয়ে জীবনযুদ্ধের এত দীর্ঘ পথ হাঁটলেও তাঁর শরীরেও বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি গ্রামজুড়ে তৈরি করেছে আনন্দ, গর্ব ও অনুপ্রেরণার আবহ। ছেড়ুয়া গ্রামে এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য—নেজিমা বিবির ভোটদানের দৃঢ় সংকল্প।”গ্রামবাসী থেকে পরিবারের সদস্যরা গর্বের সঙ্গে বলছেন—ওনার শরীর-মন দুটোই ভালো আছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটদান করতে ওনাকে কেউ থামাতে পারবে না। আগের মতো তিনি পায়ে হেঁটেই ভোট দেবেন।গ্রামের মানুষরাও আশা করছেন, এই শতায়ু ভোটারের উপস্থিতি আগামী নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেবে।নেজিমা বিবির এই দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি এবং ভোটদানে আগ্রহ আজ গোটা এলাকায় এক বিরল দৃষ্টান্ত ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।