অরিন্দম চক্রবর্তী : ৩০শে জুন সোমবার সাত সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের খরিদা এলাকায় মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হল 'আমরা বামপন্থী সংগঠনে'র নেতা অনিল দাসকে। ঘটনায় চরম অভিযোগে দলের নেতা বেবী কোলেকে শোকজ় করল তৃণমূল এবং এফআই আর হয়েছে তার নামে (।FIR No—311/25)। প্রসঙ্গত সোমবার সাত সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের খরিদা এলাকায় 'আমরা বামপন্থী' সংগঠনের নেতা অনিল দাস ওরফে ভীম দা-এর উপর খড়গপুরে আক্রমণ করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর বেবী কোলে। এদিন সকাল ১০টায় অনিল দাস ওরফে ভীমদা খড়গপুরে খরিদা এলাকায় কেনাকাটা থেকে ফিরছিলেন, তখন বেবী কোলে এবং তার সঙ্গীরা রাস্তায় জুতা ছুঁড়ে মেরে তাকে মারধর করে এবং নানাভাবে হয়রানি করে।খড়্গপুরের ইতিহাসে কলঙ্কিত ঘটনা। এরকম ঘটনা খড়্গপুর শহরে কখনো হয়নি।
এছাড়াও, আইনত যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা পুলিশ-প্রশাসনকে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তীব্র প্রতিবাদ জানালেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরা ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা MKDA এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার। এদিকে খড়্গপুরে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় অনিল দাস ওরফে ভীম দা হাসপাতালে দেখতে যান।তিনি বলেন রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু গণতন্ত্রে কারও কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।এই হামলা শুধু অনিল দাসের ওপর নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত।
এই ঘটনাকে ঘিরে মালঞ্চ ও খরিদা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অনেকেই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। সেখানে একটি প্রতিবাদ সভাও করা হয়।
