নিজস্ব সংবাদদাতা: মন্দির রক্ষার লড়াইয়ের ফলে ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই পাথরার ৩৪টি মন্দির-সহ মন্দির সংলগ্ন প্রায় ২৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। আসলে সেইসময় আমি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিনে পশ্চিমবঙ্গে থাকা পুরোনো মন্দিরগুলি নিয়ে বেশ উৎসাহিত ছিলাম, তাই গুগুল আর ফেসবুক ঘেঁটে একে একে জানতে পারি এই গ্রামের সাথে গুপ্ত যুগের সম্পর্কের কথা, গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ২০০ বছরের পুরানো ৩৪ টি মন্দিরের কথা, আলীবর্দী খাঁ ও বিদ্যানন্দ ঘোষালের কথা এবং সর্বোপরি ইয়াসিন পাঠানের অদম্য লড়াইয়ে কথা, লড়াই এইসব প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরগুলো রক্ষা করার।মন্দিরময় পাথরা য় অবস্হিত প্রাচীন যুগের ভগ্ন ৪২ টি মন্দির রক্ষার জন্য গত চল্লিশ বছর ধরে বিনা মাইনের তিন " চৌকিদার "। দীপক মহাপাত্র, মহ: ইয়াসিন পাঠান এবং জয়ন্ত কুমার সামন্ত।এই চৌকিদার গুরুত্বর অসুস্থ। গত বাইশ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের " আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মন্দিরময় পাথরা র মন্দির সংলগ্ন ২৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেও আজও সেই অধিগৃহীত জমির মূল্য দিচ্ছেন না। দায়বদ্ধতার আবশ্যকতার জন্য ইনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অধিগৃহীত জমির ভেলুয়েশন করে গত ১৬ ফ্রেরুয়ারী -২০২৪ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সভায় অনুমোদন করে ঐ কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়ার পাঠিয়ে দেওয়ার পরও এই সমস্যার সমাধান করেনি। এই গুরুতর অসুস্থ শরীরে নিয়ে লড়াই করার তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।ঈশ্বর যে ক'দিন বাঁচিয়ে রেখেছে সেই ক'দিন নিজের কর্ম আর ধর্ম নিয়ে বাঁচতে চান তিনি ।