ঝাড়গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা : ঝাড়গ্রাম লাইফ লাইন সোসাইটি' উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দ- এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে নতুন বছরে শুরুতেই অনুষ্ঠিত হলো একটি মরণোত্তর চক্ষুদান শিবির । পৃথিবীর আলো থেকে বঞ্চিত মানুষদের কথা ভেবে তাদের জীবনে আলো জ্বালাবার জন্য এই মহতী প্রয়াস গ্রহণ করা হয়।দীর্ঘ কয়েক বছরের চেষ্টায় লাইফ লাইন সোসাইটির উদ্যোগে "পুনর্দৃষ্ঠি অ্যান্ড আই জেনারেল হাসপাতাল"এর সহযোগিতায় এই শিবির আয়োজন করা সম্ভবপর হয়ে। কর্মসূচির শুরুতে সোসাইটির সম্পাদিকা সুস্মিতা মণ্ডল শিবিরের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন,মানুষ সচেতন হলে তবেই কিছু মানুষের চোখের আলো জ্বালানো সম্ভব। কৃত্রিম উপায়ে রক্ত যেমন তৈরি করা যায় না সেইভাবে চোখের কর্নিয়া তৈরি করা যায় না।মৃত্যুর পর চোখের কর্নিয়া দান করা হয়।সেজন্য জীবিত কালে অঙ্গীকার পত্র করে যাওয়াই হোলো মরণোত্তর চক্ষুদান।সুস্মিতা মণ্ডল বলেন,'সমাজের দৃষ্টিহীন সব মানুষদের কথা ভেবে সমস্ত কুসংস্কার ভেঙে আমরা যদি এগিয়ে এসে মানুষকে বোঝাতে পারি তবেই এই শিবিরের সার্থকতা'।এই দিন পুনর্দৃষ্ঠী অ্যান্ড আই জেনারেল হাসপাতালে তরফে উপস্থিত ছিলেন কাজল রায়,প্রভাত সুর প্রমুখ। ছিলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন কবিতা ঘোষ, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপ্লব শিট, কলকাতা থেকে আগত সুজাতা কারক,সোসাইটির সভাপতি জয়ন্ত গিরি সহ অন্যান্য সদস্য গণ। এদিন ৫৫ জন মরণোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন।গ্রহণ করেছেন। কেকা দাস, কৃষ্ণা ঘোষ এটি এক কথায় একটি ভীষণ ভালো উদ্যোগ। আরো প্রচার প্রয়োজন তবেই মানুষ সচেতন হবেন ।শিবির শেষে যাঁরা এসে পৌঁছান,পরে তাঁদের পরে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ঝাড়গ্রাম লাইফ লাইন সোসাইটির পরের লক্ষ্য একটা আই ব্যাঙ্ক তৈরির চেষ্টা।।সভাপতি বলেন সকলের মিলিত চেষ্টায় এটাও একদিন বাস্তবায়িত হবে।