Skip to content

মেদিনীপুর কলেজের শিক্ষা কর্মীদের পূজার বোনাস ও অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্য মূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার ২৬ শে সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর কলেজের স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা মজুরি বৈষম্য, পূজা বোনাস এবং কর্মীদের প্রতি দিন-রাত বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে একত্রিত হয়েছিল । প্রকৃতপক্ষে, মেদিনীপুর কলেজ প্রশাসন প্রতি বছর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অস্থায়ী কর্মীদের পূজা বোনাসের চেয়ে কম প্রদান করছে। ন্যায্য বেতনের দাবিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা একত্রিত হন। এর পাশাপাশি একটি প্রতিনিধি দল তাদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে আরও কিছু দাবি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্য রঞ্জন ঘোষ মহাশয় কে ডেপুটেশন দেন। কিন্তু উপস্থিত থাকা জিবি সদস্যা স্থায়ী এক স্থায়ী শিক্ষা কর্মীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ও তাদের দাবি গুলোকে অন্যায় বলে। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষা কর্মীরা। দাবি করে যতক্ষণ না কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি গুলো মানবে এবং ওই জিবি সদস্যা তার ভুল স্বীকার করবেন না। ততক্ষণ তাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে।
উপস্থিত এক কলেজ অস্থায়ী শিক্ষা কর্মী জানান ' আমরা নো ওয়ার্ক নো পে সিস্টেমে কাজ করি যে দিন কাজ হয়না সেদিনের টাকা পায়না। মহালয়ার এক - দুদিন পর কলেজ বন্ধ তাই পুজোর ছুটিতে আমরা কোনো বেতন পাইনা। এদিকে পুজোর সামান্য বোনাস টুকু দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ একই ঘটনা ঘটায় '। কলেজের আর এক স্থায়ী শিক্ষা কর্মী জানান, 'এমনও আছে কিছু কিছু অস্থায়ী কর্মী ১০-১৫ বছর ধরে কাজ করে চলে আসছে। কেউবা এক্যাউন্ট সেকশন, কেউবা ডিপার্টমেন্ট, কেউবা আবার কন্ট্রোলার সেকশনের মতো গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব সহকারে সমস্ত কাজ করেও হাতে পাচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মতো। সরকার এদের ক্ষেত্রে 1091-F(P2) লাগু করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখান। অস্থায়ী কর্মীরা বারবার তাদের সংখ্যা উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জানাতে চাইলেও কলেজ অনীহা দেখান।অথচ ভাবেন না অস্থায়ী কর্মীদের কথা। কিভাবে তাদের সংসার চালায়। কেউ বা অসুস্থ বাবা মায়ের চিকিৎসা করান'। বলা যায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের অবহেলা ও তাদের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ এই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

Latest