নিজস্ব সংবাদদাতা : দিল্লী বিস্ফোরণ কান্ডে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী ডাক্তারদের প্রকাশ্য ফাঁসি চেয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো অখিলভারত হিন্দুমহাসভার সদস্যরা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে ২১শে নভেম্বর,শুক্রবার হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা ভারত সরকারের কাছে দাবী তুললেন যেহেতু দিল্লী বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশী যোগ পাওয়া গেছে তাই ভারত সরকারের অনতিবিলম্বে অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করে দেশের শত্রুদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিৎ । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন আমরা কখনও কোনোদিন বলিনি যে সব মুসলমান সন্ত্রাসবাদী কারণ সারা দেশে বহু জাতীয়তাবাদী মুসলমান রয়েছেন ।

কিন্তু এটাও সত্যি সারা পৃথিবীতে যত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হচ্ছে সেই সন্ত্রাসীদের সিংহভাগ কিন্তু মুসলমান ধর্মাবলম্বী । অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদীরা মুসলিম মৌলবাদকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করছে দীর্ঘদিন ধরেই । এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যেখানে আমরা ডাক্তারদের ভগবানের ঠিক পরের আসনে বসার যোগ্য মনে করে শ্রদ্ধা করি সেখানে আদিল আহামেদ, শাহীন সাহিদ, পারভেজ আনসারি, আরিফ মীর, মহিউদ্দিন সৈয়দ, ফারুক আহমেদদের মত ডাক্তাররা দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার হয়ে শেষে আত্মঘাতী ফিদাইন জঙ্গী হিসেবে মানুষকে হত্যা করছে । শুধু তাই নয় এরা রিসিন বিষ প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীকে জৈব সন্ত্রাসের মাধ্যমে নৃশংস ভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে । ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন দেশে আর কোন নাশকতা হলেই তাকে আমরা দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দেখব । তাহলে ভারত সরকারকে অবশ্যই নিজের কথা রেখে সমস্ত ভারতবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে ।
আমরা আজও মনে করি অপারেশন সিঁদুরের সময় যদি পাকিস্তানকে ক্ষমা না করে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করা হতো এবং বেলুচিস্তানের মানুষদের পাশে সরাসরি ভারত সরকার দাঁড়াতো তাহলে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘর পাকিস্তানের কোমড় ভেঙে যেত এবং সন্ত্রাসের কবল থেকে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেত । তাই হিন্দুমহাসভা মনে করে অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লীকাণ্ডে ধরাপড়া জিহাদী ডাক্তারদের আরবীয় কায়দায় চৌমাথার মোড়ে সবার সামনে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ যাতে আর কোন মৌলবাদী জিহাদী ভারতের দিকে নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে চোখ তুলে না তাকাতে পারে । আজ বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল, কনভেনর আশুতোষ মজুমদার, সমীরণ চৌধুরী ও আরো অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন ।