নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি আদালতে।
কাঁথি আদালতের বিচারকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন বেআইনি এফিডেভিট বানানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর ত্রিশের এই ব্যক্তির বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার মুকুন্দপুরে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘সই ও স্ট্যাম্প জাল করে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাঁথি আদালতের আইনজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতে। ওই ব্যক্তির আইন পাশের সার্টিফিকেট ও আইকার্ড যাচাই করা হচ্ছে।’ কাঁথি আদালতের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ননীগোপাল শীট কাঁথি আদালতের দুই বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনওটারই সদস্য নয়। তা সত্ত্বেও আদালতে প্রাকটিস করতেন। মূলত হলফনামার কাজ করেন। শুধু সাধারণ মানুষজন নয়, আদালতের অনেক আইনজীবীও তাঁকে দিয়ে ওই কাজ করাতেন। অনেকে জানিয়েওছেন, কাঁথি আদালতে যেখানে দিনে ৫০টি হলফনামা তৈরির কথা, সেখানে দিনে ১০০-২০০ মানুষ হলফনামার জন্য, ম্যারেজ সার্টিফিকেট–সহ অন্যান্য সার্টিফিকেটের জন্যে আসেন। এই ননীগোপাল বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকের সই ও স্ট্যাম্প জাল করে ব্যবসা ফেঁদে বসেন। বহু মক্কেল তাঁর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের বিভিন্ন অভিযোগ কানে আসছিল কাঁথি আদালতের আইনজীবীদের। বার অ্যাসোসিয়েশনের নজরদারির অভাব ও গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা বলে আদালতের আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন।