পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মিগজাউম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকেই চেন্নাইয়ের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। এদিকে, বুধবার থেকে দুই মেদিনীপুর, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সেইমতো বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বেলা পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টিপাতে একপ্রকার দফারফা পাকা ধান আর আলুর! এর ফলেই মাথায় হাত পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী, গড়বেতা, গোয়ালতোড় কেশপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের। তাঁদের দাবি, "যে টুকু আলু লাগিয়েছিলাম পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। জমিতে এক হাঁটু করে জল জমে গেছে। জল কাটিয়েও কিছু করা যাবেনা। পুরো আলুটাই পচে যাবে।" এদিকে, ওই জমিতে অন্য কোন ফসলও লাগানো যাবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের বক্তব্য, আলু লাগানোর আগে যে সমস্ত সার বা কীটনাশক দিয়ে আলুর জমি তৈরি করা হয়, ওই জমিতে অন্য কোন ফসল করাও যাবে না। এদিকে, আলু বীজের যা দাম তাতে দ্বিতীয়বার আলু লাগানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হতাশ কৃষকরা।
সর্বোপরি, শস্যবীমা-তে নাম নথিভুক্ত করার আগেই 'বিনা মেঘে বজ্রপাত'-র মতো এই দুর্যোগ এসে হাজির হওয়ায়, সরকারি সাহায্য কতটুকু মিলবে সে নিয়ে সন্ধিহান জঙ্গলমহলের কৃষকরা। অন্যদিকে, পাকা ধানেও কার্যত মই চালিয়েছে মিগজাউম! মাঠে থাকা পাকা ধান জলে ডুব দিয়েছে। ফলে ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে চলেছে বলে কৃষকদের দাবি। এই বিষয়ে জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী বলেন, ধান অধিকাংশ কাটা হয়ে গেছে, তবে আলুতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা।