নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বইতে ভয়াবহ জঙ্গিহানা। ২৬ নভেম্বর দিনটা ছিল দেশের জন্য একটা কালো দিন।অন্তত ১৬৬জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই জঙ্গিহানায়। পাকিস্তান থেকে সেদিন জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। অন্তত ১০জন জঙ্গি সেদিন ঢুকে পড়েছিল ভারতের মাটিতে।তাজ হোটেল, ওবেরয় ট্রিডেন্ট, নরিমান হাউজকে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে আহতও হন ৩০০-এরও বেশি মানুষ।
আর সেই ২৬-১১ এর পাঁচ নায়কের কথা জেনে নিন।
টুকারাম ওমব্লে :
মুম্বই পুলিশের অ্য়াসিস্ট্যান্ট সাব ইনসপেক্টর। অন্তত ৪০বার গুলি করা হয়েছিল তাকে। তবুও সেদিন ওই পুলিশ আধিকারিকই ধরে ফেলেছিল লস্কর জঙ্গি আজমল কাসভকে।
মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন :
ভারতীয় সেনার মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন ছিলেন এনএসজির পার্ট। তাজ হোটেলকে জঙ্গি মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্তত ৫০জন পণবন্দিকে তিনি সেদিন বাঁচিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন তিনি।
মল্লিকা জগড় :
সেদিন তাজ হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট ম্যানেজার ছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনেই তিনি অতিথিদের বলেন টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ুন। তিনি মহিলাদের আগে সরিয়ে দেন। যাতে পুরো পরিবার শেষ না হয়ে যায়। অন্তত ৫০জন অতিথির জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
করমবীর সিং কাং :
তিনি ছিলেন মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার। তিনি সেই সময় অন্য় জায়গায় ছিলেন। কিন্তু জঙ্গি হানার খবর পেয়েই তিনি হোটেলে ফিরে আসেন। অন্তত শ খানেক অতিথিকে তিনি বের করে আনেন। তবে সেদিন হোটেলেই জঙ্গিরা গুলি করে তাকে। তাঁর স্ত্রী ও পুত্রেরও মৃত্যু হয়।
থমাস ভারগাসে :
তাজের জাপানি রেস্তরাঁর ওয়েটার ছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনেই তিনি সকলকে বলেন নীচু হয়ে বসে পড়ুন। এরপর একে একে সকলকে রেস্তরাঁ থেকে বের করে আনেন। সব শেষে বের হচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। গোটা দেশ মনে রেখেছে তাঁদের। তাঁরা সেদিন জীবন দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন প্রচুর প্রাণকে।