Skip to content

দারিদ্র্যকে দূরে ঠেলে মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করলো শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা শিক্ষার্থী লাবনী মাহাত আর মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা একসময় মাওবাদী আতঙ্কে জর্জরিত এক এলাকা। স্বপ্ন পূরণে বাধা আর্থিক অনটন,দারিদ্র্যকে দূরে ঠেলে উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করলো শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবনী মাহাত। জঙ্গলঘেরা প্রত্যন্ত গ্রামে বড় হয়ে ওঠা লাবনী এবার মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৪৭ নম্বর (৯২% এরও বেশি), যা তাকে পৌঁছে দিয়েছে জেলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের তালিকায়। পড়াশোনায় বরাবরই মনোযোগী লাবনীর স্বপ্ন — ডাক্তার হওয়া। কিন্তু পরিবারের অভাব-অনটন তার এই স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছিলেন লাবনীর বাবা, সিভিক ভলান্টিয়ার কিনু মাহাতো। মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-এর এই খবর কানে আসার পরে তিনি নিজে লাবনীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি জানিয়েছেন, "আমরা লাবনীর জন্য গর্বিত। আগামীদিনে ও আরও এগিয়ে যাক। আমরা সর্বতোভাবে ওর পাশে থাকবে। পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জয়তি দাস বলেন, "লাবনী ছোট থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী। পাশাপাশি আবৃতিতেও দারুণ প্রতিভাবান। ওর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আমাদের গর্বিত করে।লাবনীর বাবা বহড়াবনী গ্রামের বাসিন্দা তথা পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ির সিভিক ভলেন্টিয়ার। দুই মেয়ের মধ্যে লাবনীই বড়। ছোট মেয়ে শ্রাবণী পিড়াকাটা হাইস্কুলেই অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। স্ত্রী রীনা গৃহবধূ। একটি মাটির বাড়িতে কোনওমতে দিন কাটে চারজনের। সিভিক ভলেন্টিয়ারের সামান্য বেতনে চারজনের সংসার চালাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে মেয়ের জন্য আলাদা করে গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থাও করতে পারেননি। এটা একটা গল্প আজ শুধুই এক পরীক্ষার রেজাল্ট নয় — এটি এক অনুপ্রেরণা, এক প্রত্যয়ের প্রতীক। সমাজের প্রতিটি কোণ থেকে যদি এভাবে প্রতিভার পাশে দাঁড়ানো যায়, তবে কোনো অভাবই আর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

Latest