নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার ছিল ছোট্ট সমন্বিতা'র জন্মদিন।সমন্বিতা সেন হলো ডিওয়াইএফআই-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শুভদীপ সেন ও তাঁর স্ত্রী মৈত্রেয়ী দুলে সেন-এর একমাত্র কন্যা। তার জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে সমন্বিতার অভিভাবক স্থানীয় সাত জন প্রিয়জন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন।

কুসংস্কার,অপবিজ্ঞানের বেড়াজাল যখন আজকের আধুনিক সমাজকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তখন মানব শরীরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসারে কাজে লাগানোর জন্য স্বেচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার।ছোট্ট সমন্বিতার জন্মদিনে পরিবারের অভিভাবকরা প্রায় সকলে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন। এই কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের গোয়ালতোড় বিজ্ঞান কেন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন গোয়ালতোড় বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বজিৎ প্রামাণিক,সভাপতি পল্লব লায়েক ও বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মকর্তা জয়ন্ত নন্দী প্রমুখ। শাল পিয়ালের জঙ্গলে ঘেরা গোয়ালতোড়-এর মতো প্রান্তিক এলাকায় এই দেহদান বিজ্ঞান ও প্রগতির পথে নতুন দিশা দেখাবে বলে ধারণা বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের।

এদিন মরনোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করলেন সমন্বিতার বাবা ডিওয়াইএফআই -এর জেলা সভাপতি শুভদীপ সেন, মা প্রাথমিক শিক্ষিকা মৈত্রেয়ী দুলে সেন, ঠাকুরদা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সন্দীপ সেন, ঠাকুমা সীমা সেন, সমন্বিতার মামাদাদু প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামল দুলে,মামাদিদা প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মী স্বপ্না দুলে,সমন্বিতার মাসীঠাকুমা প্রাক্তন শিক্ষিকা দীপ্তি ধর।মৃত্যুর পর মানবতার কল্যাণে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসারে তাঁদের দেহ যেমন ব্যবহৃত হবে, ঠিক সে ভাবেই আগামীতে এলাকার আরও মানুষ যাতে দেহদানে এগিয়ে আসেন,তার প্রসার ও প্রচারে সকলকেই সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মরনোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারকারীরা।