নিজস্ব সংবাদদাতা : ৩৩ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারে এই প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ খান অবশেষে পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জওয়ান’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। অনুরাগীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ও কিং খানের নিজের পরিশ্রম যেন এবার এক মহার্ঘ স্বীকৃতি পেল।৯৯২ সালে 'দিওয়ানা' ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ। এরপর ‘বাজিগর’, ‘ডর’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘স্বদেশ’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ফ্যান’, ‘রইস’, ‘জিরো’—একাধিক ঘরানা ও চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহুমাত্রিক অভিনেতা হিসেবে। ‘রোম্যান্সের রাজা’ থেকে ‘অ্যাকশন হিরো’—শাহরুখ বারবার নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২৩-এ ‘পাঠান’ দিয়ে পর্দায় ফেরেন তিনি। তারপর ‘জওয়ান’ ও ‘ডাঙ্কি’—ব্যাক টু ব্যাক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দেন দর্শকদের।
&imwidth=800&imheight=600&format=webp&quality=medium)
‘জওয়ান’-এ একজন সেনা অফিসার ও একজন সমাজসেবী যুবকের ভূমিকায় শাহরুখের অভিনয় মন কাড়ে দর্শক ও সমালোচকদের। এই ছবিই তাঁকে এনে দিল জীবনের প্রথম জাতীয় পুরস্কার। পুরস্কার প্রাপ্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন ভিডিও বার্তায় শাহরুখ বলেন, “এই সম্মান শুধু পুরস্কার নয়, আমার কর্মজীবনের প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিফলন। জাতীয় পুরস্কার আমার হৃদয়ে চিরকাল জায়গা করে নেবে।” তিনি ধন্যবাদ জানান বিচারকমণ্ডলী, পরিচালক অ্যাটলি ও তাঁর টিমকে, যাঁদের সহযোগিতায় এই চরিত্রে প্রাণ সঞ্চার করা সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানান স্ত্রী গৌরী ও তিন সন্তানকেও, যারা সবসময় তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁর অনুপস্থিতি মেনে নিয়ে পাশে থেকেছেন। ভিডিওর শেষ অংশে ভক্তদের উদ্দেশ্যে শাহরুখ বলেন—“আমি আপনাদের কাছে অর্ধেক আলিঙ্গন পাঠাচ্ছি। পপকর্ন প্রস্তুত রাখুন, খুব শিগগিরই আবার সিনেমা হলে ফিরছি।” চোট পাওয়া হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েও ভিডিওটি করেন কিং খান। একদিকে পর্দার বাইরে তাঁর শরীরী চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে পর্দায় দুর্দান্ত কামব্যাক—সব মিলিয়ে এই জাতীয় পুরস্কার যেন তাঁর জীবনের এক পূর্ণবৃত্ত।