আজ ২৩শে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় হুল বিদ্রোহের নেতা কানহু মুর্মু ১৬৮ তম শহীদ দিবস পালন করা হছে।ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা অমর বীর। যাঁরা অসম সাহসে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র-সজ্জিত ইংরেজবাহিনীর সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়়ে গিয়েছিলেন। লড়েছিলেন মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, স্বাধীনতার স্বপ্ন সত্য করার প্রেরণায়। আজও তাঁদের স্মরণ করা হয়। আজও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয় মন। একজন সিধো মুরমু (১৮১৫-১৮৫৬), অন্যজন কানহু মুরমু (১৮২০-১৮৫৬)।কানহু মুরমু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিধু গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।] কানু মুরমু ছিলেন তার অনুজ এবং অপর বীরদ্বয় চাঁদ ও ভৈরব তার অপর দুজন অনুজ ভ্রাতা। ১৮৫৬ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ভগ্নাডিহির নিকট পাঁচকাঠিয়া বট বৃক্ষে বেলা পৌনে ২ নাগাদ ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন- ("আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব) ।৪৫মিনিট তাঁর দেহটি ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে রাখার পর,সেটিকে নামিয়ে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।বর্বর ইংরেজ সরকার কানুর মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেবার সৌজন্য পর্যন্ত বোধ করেনি। ভৈরব ও চাঁদ ভাগলপুরের কাছে এক ভয়ংকর যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করেন। সেটাই ভারতের প্রথম স্বাধীনতার লড়াই। এক পরে ঘটেছিল সিপাহি বিদ্রোহ।