নিজস্ব সংবাদদাতা : সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য্যর সমীক্ষা অনুযায়ী কোলকাতার পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন দিশা সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিএমওএইচ-এর উদ্যোগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল দাস এবং কেশিয়াড়ী ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ অর্পন নায়েকের উপস্থিতিতে সোমবার কেশিয়াড়ী ব্লকের গনসরিষা আয়ূষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথম সিলিকোসিস নির্ণয় ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হলো।

গনসরিষা আয়ূষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন টিবি আক্রান্ত রোগী,রোগীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ এই এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা বিভিন্ন সময় আসানসোল দুর্গাপুর এলাকায় পাথরের রামিং মাস কারখানায় কাজ করতেন এবং দুবার তিনবার চার বার এমন কি পাঁচবার টিবির ঔষধ খেয়েও নিরাময় হয়নি তাঁদের পরীক্ষা করা হয়।প্রথমে পাঁচ জনের নাম উঠে এলেও পরবর্তীতে ২১ জনের নাম উঠে আসে। যারা পাথরের কাজ করতেন গনসরিষা,করঞ্জীমুড়া,গোপীনাথপুর,জয়পুর,ভেলামপুর, প্রতাপপুর ও পনসগঞ্জ গ্ৰামে বিভিন্ন সময়ে পাথরের ডাষ্ট বা পাথরের গুঁড়ো বা পাউডার তৈরি র কাজ করতেন।
১২৫ জন টিবি আক্রান্ত রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্য ১০ জন সিলিকোসিস আক্রান্ত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জনকে নির্দিষ্ট তারিখে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে সিলিকোসিস কার্ড-এর ব্যাবস্থা হবে। উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্ৰাম ম্যানেজার সংকলন মাইতি, গনসরিষা আয়ূষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ সামন্ত, সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য্য ও কেশিয়াড়ী ও গনশরিষা এএনএম,আশা ও টিবি বিভাগের কর্মীগণ।