বিষ্ণুপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর জয়পুর ব্লকের ডান্নে গ্রামে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন তাপসী মণ্ডল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তাপসীর। অসুস্থতা বাড়তে থাকায় তাপসীকে ভোরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। প্রথমে তাপসীকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রসূতির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে অনতিদূরে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়কের জয়পুর হাসপাতাল মোড়ে তাপসীকে নিয়ে পরিজনদের গাড়ি হাসপাতালের দিকে ঘুরতেই রাস্তা বন্ধ। হাসপাতালের মোড়ে স্থানীয় জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতি একটি তোরণ নির্মাণের কাজ করছে। অভিযোগ, সেখানের রাস্তা কাটা ছিল। এর পর স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনে বিকল্প রাস্তা ধরে তাপসীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রোগীর পরিবারের দাবি, যে রাস্তা দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে তাপসীকে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেত, রাস্তা কাটা থাকায় সেই হাসপাতালে পৌঁছাতে তাঁদের তিন থেকে চার কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়েছে। সময় লেগেছে ৪০ মিনিটেরও বেশি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাপসীর। তাপসীর পরিজনদের দাবি, সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছোতে পারলে তাপসীকে এ ভাবে চলে যেতে হত না।স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তোরণ তৈরির জন্য কীভাবে দিনের পর দিন কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে মৃতার পরিবার।