নিজস্ব সংবাদদাতা : ভগবান বিষ্ণু নার্সিং অবতার ভগবান নরসিংহ রূপে অবতীর্ণ হন। বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী, ঋষি কশ্যপ ও তাঁর স্ত্রী দীতির দুই সন্তান ছিল। তাঁরা হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ। দুই ভাই ভগবান ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর তপস্যা শুরু করেন। ব্রহ্মার অভয়ও লাভ করেন তাঁরা। দুই ভাইকে কোনও সুর বা অসুর, অস্ত্র, রাতে অথবা দিনে, মাটি অথবা শূন্যে হত্যা করতে পারবেন না বলে সৃষ্টিকর্তা বর দেন। এই বর পেয়েই অত্যাচারী হয়ে ওঠেন দুই ভাই। হিরণ্যকশিপুর সন্তান প্রহ্লাদ বিষ্ণুভক্ত হওয়ায় তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিষ্ণু বরাহ অবতার ধারণ করে হত্যা করেন হিরণ্যাক্ষকে। এর পর নরসিংহ অবতারে আবির্ভূত হয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেন বিষ্ণু। রক্ষা পায় জীবকুল। সেই থেকে পালন করা হয় নৃসিংহ চতুর্দশী বা নরসিংহ জয়ন্তী।২২ মে পালন করা হবে নৃসিংহ চতুর্দশী। ২১ মে সন্ধ্যা ৫টা বেজে ৩০ মিনিটে চতুর্দশী লাগবে। চতুর্দশী শেষ হবে ২২ মে সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৫৬ মিনিটে।হিন্দু শাস্ত্রমতে, নরসিংহ জয়ন্তীর দিন উপবাস করলে জীবনের জটিলতা, সমস্যা, দূর হয়ে সফলতার দেখা পাওয়া যায়। বিভিন্ন অচলাবস্থা কেটে জীবনে শান্তি ফিরে আসে। সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীরও পুজো করেন অনেকে। নৃসিংহ দেবের আশীর্বাদে সব বাধা বিপদ কাটিয়ে জীবনকে আরও বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলা যায়।
ভগবান নরসিংহ পূজার উপকারিতা:
নরসিংহ পূজা জীবনের সকল প্রকার ঝামেলা ও প্রতিবন্ধকতা থেকে আশ্রয় দেয়।
পূজা মনের শান্তি পেতে সাহায্য করে এবং ভক্তদের আশ্রয় দেয়।
এই পূজা আধ্যাত্মিক সুখ প্রদান করে।
এই পূজা জীবনের সমস্ত দুঃখ মুছে দিতে সক্ষম করে।
এই পূজা ভয় দূর করতে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। এটি পরম বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে এবং একজন ব্যক্তির মধ্যে সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণমান বাড়ায়।
এই পূজা, তার কর্তাকে মোক্ষের দ্বারা উপকৃত করে এবং তাদের জন্য চক্রীয় পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি এবং মুক্তি লাভ করা সহজ করে তোলে।
নরসিংহ পূজা মন, শরীর ও আত্মা এবং পরিবেশকেও শুদ্ধ করে।
আচার-অনুষ্ঠান অনুযায়ী করা হলে তা জীবনের সমস্ত সম্পদ, অর্থ ও সমৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করবে।
