Skip to content

কোল্ডরিফ সিরাপেই শিশু মৃত্যু! চেন্নাই থেকে গ্রেফতার শ্রীসান ফার্মাসিউটিকালের মালিক রঙ্গনাথন

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা :  দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে শিশু মৃত্যুর ঘটনাগুলি। মারণ কাশির ওষুধ ‘কোল্ডরিফ সিরাপ’-এর সেবনে একের পর এক শিশুর প্রাণহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর, অভিযুক্ত সংস্থা শ্রীসান ফার্মাসিউটিকালস-এর বিরুদ্ধে। আজ, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর), সংস্থার মালিক রঙ্গনাথনকে চেন্নাই থেকে আটক করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। দীর্ঘ এক সপ্তাহের অনুসন্ধানের পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, ওই সিরাপ তৈরির সময় মাননিয়ন্ত্রণের নিয়মাবলি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্টে সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকোল নামক বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে—যা মানুষের কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। প্রাথমিকভাবে ২০ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে, তবে স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই ওই সিরাপ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি। একই সঙ্গে দেশজুড়ে শ্রীসান ফার্মাসিউটিকালের অন্যান্য পণ্যগুলিও পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। তাঁর খোঁজ দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “আমরা মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। কীভাবে এমন বিষাক্ত সিরাপ বাজারে এল, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।” দেশজুড়ে শিশুদের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে গতকাল নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের বলা হয়েছে যে ওষুধ তৈরির কাঁচামালের প্রতিটি ব্যাচ যেন পরীক্ষা করা হয়। ওষুধ তৈরির পরেও অর্থাৎ তৈরি ফর্মুলেশনও সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয় বিক্রি বা ব্যবহারের আগে। সাধারণ মানুষের দাবি,অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক,যাতে আর কোনও নিরপরাধ শিশুর প্রাণ না যায় মুনাফালোভী সংস্থার অবহেলায়। উল্লেখ্য, কোল্ডরিফ সিরাপ প্রেসক্রাইব করা হয় সাধারণত শিশুদের সর্দি-কাশি, হাঁচি, গলা ব্যথা, চোখ থেকে জল পড়ার মতো উপসর্গের ক্ষেত্রে। শিশু মৃত্যুর পরই তামিলনাড়ুতে সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই পাওয়া যায় যে সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকল মেশানো। নির্দিষ্ট সীমার থেকে ৫০০ গুণ বেশি এই কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, কেরল, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে এই সিরাপ বিক্রি ও সেবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Latest