পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী :পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গোদাপিয়াসাল কাছারি রোডের বৃদ্ধা ঊর্মিলা ভুঁইয়া মেয়ে এবং জামাইের সঙ্গে পূণ্যস্নানের সাধ পূরণ করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন।প্রয়াগরাজের ত্রীবেণী সঙ্গম ঘাটে বুধবার ভোর রাতে ১টা থেকে ২টোর মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন পুণ্যার্থীর।আহত হয়েছেন ৯০ জন।তাঁদের মধ্যে একজন আছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির এক বৃদ্ধা। তার বয়স ছিল ৭৮ বছর। মেয়ে এবং জামাইের সঙ্গে পূণ্যস্নানের সাধ পূরণ করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন ঊর্মিলাদেবী। ঊর্মিলাদেবীর পৌত্র অভিজিৎ মাইতি বলেন, '‘মা-বাবা, মেসো, মাসি, দিদা, ঠাকুমা, মামিমা এবং আমার এক বোন সোমবার বিকেলে খড়গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ওঁরা প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে নেমে, হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। রাতে সেখানেই ছিলেন। আর ভোরে পুণ্য স্নানে বেরিয়ে এই কাণ্ড। তার মৃত্যুর শোকে মর্মাহত গোটা পরিবার। পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তাকে বারণ করা হয়েছে। কারো বারণ শুনলো না ,বৃদ্ধার ঊর্মিলা ভূঁইয়া এই পূণ্যস্নানের সাধ পূরণ করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন। তিনি পরিবারকে বলে গিয়েছিলেন যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে যেন মহাকুম্ভে পূর্ণস্নান স্থানেই হয়। পরিবারের লোকজন সেটেই আক্ষেপ করে বলছেন তার সেই কথা যেন ফলে গেল।প্রয়াগরাজের ত্রীবেণী সঙ্গম ঘাটে বুধবার ভোর রাতে ১টা থেকে ২টোর মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।
ঊর্মিলা ভুঁইয়া নাতি দ্যুতিময় ভুঁইয়া বলেন, “আমার কাছে ভোরের দিকে খবর এসেছিল ফোনে বলা হয়,দিদিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে অবস্থিত মতিলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজে খোঁজাখুঁজি করলে মর্গে গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।উত্তরপ্রদেশ সরকারের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর দেহ প্রথমে খড়্গপুর শহরে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে যাবে শালবনীর বাড়িতে। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের সাথে কথা হয়েছে।"