নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এসইউসিআইয়ের কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করতে শুরু করেন। বনধ সফল করতে মাঠে নেমে পড়েন এস ইউসিআইয়ের কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কালেক্টরেট চত্বরে দেখা যায় কর্মীরা সকালবেলায় রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। যাত্রী নিয়ে বাস এগোতে গেলেই সেই বাস বন্ধ করে দিয়ে ড্রাইভার এর কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় এসইউসিআই কর্মীদের ধস্তাধস্তি। পশ্চিম মেদিনীপুর টাউন থানার অফিসার এতে আহত হয়েছেন। তার সঙ্গে কিছু পুলিশ কর্মীও আহত হন। এসইউসিআই এর কিছু কর্মীও জখম হন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সকাল ৬টা থেকে এসইউসিআইয়ের ডাকা বনধ্ চলছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জেলাগুলিতে। প্রভাব পড়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন লাইনে। ডায়মন্ড হারবার লাইনে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়।ধর্মঘটের সমর্থনে দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় নামে এসইউসিআই-এর এক কর্মী বলেন, "আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে । তড়িঘড়ি সেমিনার রুম সংস্কারের নাম করে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে, দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালানো হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে ৷ সম্পূর্ণটাই পরিকল্পনামাফিক ৷ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি দিয়ে আমাদের এই আন্দোলন ৷
এদিকে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। এরইমধ্যে শনিবার দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিল চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের নন-ইমারজেন্সি মেডিকেল সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে। খুলবে না আউটডোর। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সবরকম পরিষেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন চিকিৎসকরা। বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আপৎকালীন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু থাকবে। হতাহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ওপিডির নিয়মিত কাজকর্ম হবে না এবং ইলেকটিভ সার্জারি (ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচার, অর্থাৎ যেগুলি পরে করলেও অসুবিধা নেই) করা হবে না। যেখানে যেখানে আধুনিক মেডিসিনের ডাক্তাররা পরিষেবা দেন, সেই সকল সেক্টরে পরিষেবা প্রত্যাহার করা হবে। চিকিৎসকদের ন্যায়সঙ্গত কারণের সঙ্গে গোটা দেশের সহানুভূতি চাইছে আইএমএ।’