নিজস্ব সংবাদদাতা : একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলাম ,বুধবার ঘড়ির কাঁটা বেলা ১১টা ৫৮টায় পৌঁছে যেতেই, সূর্য দেবের কিরণ রাম মন্দিরের মাথায় পৌঁছে সূর্য তিলক করলো রামলালার কপালে। গর্ভগৃহে সূর্যের প্রথম কিরণ ঢুকে রামলালার মুখে পড়বে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে রামমন্দিরে রামলালার কপালে ‘সূর্য তিলক’ বসাবেন বিজ্ঞানীরা। প্রতি বছর রামনবমীর দুপুরে সূর্যের আলোর একটি রশ্মি সরাসরি রামলালার মূর্তির কপালে এসে পড়বে। সেখান থেকে প্রতিফলিত হয়ে গোটা মন্দির আলোয় আলোয় ভরিয়ে দেবে। রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বিশেষ এক ধরনের লেন্স ও আয়না তৈরি করেছেন যা মন্দিরের কাঠামোর সঙ্গে জোড়া হয়েছে। সূর্যরশ্মির মন্দিরর গায়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আয়না ও লেন্সে বারবার প্রতিফলিত হয়ে গর্ভগৃহে ঢুকে রামলালার মূর্তির কপালে পড়বে। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণের কথা মাথায় রেখেই সেই লেন্স ও আয়নাকে বিশেষ উপায়ে স্থাপন করা হচ্ছে মন্দিরে যাতে সূর্যের অবস্থান ঋতুবদলের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে বদলাক না কেন, সূর্যরশ্মি ঠিক গর্ভগৃহে ঢুকে রামলালার মূর্তিতে পড়বেই।

মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে সূর্যের আলোতে গর্ভগৃহে ঢোকানো হবে আইআর ফিল্টার দিয়ে। সূর্যের কিরণ ফিল্টার দিয়ে সরাসরি গর্ভগৃহে ঢুকবে।এই সৌরকিরণ যাতে প্রতিফলিত হয়ে রামলালার ঠিক কপালের মাঝখানে পড়ে সেজন্য চারটি লেন্স ও চারটি আয়নাকে বিশেষ কৌণিক অবস্থানে বসানো হয়েছে।এই লেন্সের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে সরাসরি রামলালার কপালে পড়বে ও ঠিকরে বেরিয়ে গোটা মন্দির আলোকিত করবে।লেন্স ও আয়নার সঙ্গে গিয়ারবক্স বসানো হয়েছে মন্দিরে। ১৯টি গিয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এই গিয়ারগুলির সাহায্যে, প্রতি বছর রাম নবমীর দিন সূর্যের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে লেন্স এবং আয়নাগুলির অবস্থানও। এই গিয়ারবক্স হয়েই সূর্যের রশ্মি গর্ভগৃহে ঢুকে লেন্সে প্রতিফলিত হবে।