নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলা ভাষায় কথা বলাতেই বিপত্তি, আবার ভিন রাজ্যে হেনস্থার স্বীকার এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। পেশায় কাঠের মিস্ত্রী, কাজের সূত্রে পাশের রাজ্য ওড়িশায় গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার বাসিন্দা শেখ হানিফ আলি। কর্মসূত্রে দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি কটকের বারাঙ্গা থানা এলাকার এক ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন বলে খবর। মাস কয়েক আগে তিনি চন্দ্রকাণার বাড়িতে ফিরেছিলেন। গত মাসে ওড়িশায় ফিরে কাজে যোগ দেন। আর তারপরেই তাঁর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ অবস্থা। অভিযোগ,ওড়িশা পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে পাকড়াও করে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ওড়িশা পুলিশের কাছে দেখানো হয়েছিল। জানানো হয়, তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কয়েক পুরুষ ধরে চন্দ্রকোণাতেই তাঁদের বসবাস। কিন্তু তারপরও ওড়িশা পুলিশ কোনও কথা কানে তোলেনি বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানার পর থেকেই আতঙ্কে শেখ হানিফের স্ত্রী ও পরিবার। পরিবার চাইছে রাজ্য সরকার, পুলিশ-প্রশাসন তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ একাধিক আধিকারিককে মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধারা জানিয়েছেন,"বিষয়টি উপরমহলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। ওই ব্যক্তিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে"।ওড়িশা থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে, পরিচয়পত্র হিসেবে পাঁচবছরের পুরনো জমি-বাড়ির দলিল দেখাতে হবে যাতে শেখ হানিফ আলি-সহ তাঁর বাবার নামও থাকবে। সেই কথা শুনে পরিবারের লোকজন জমি-বাড়ির দলিল সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশি সন্দেহে,ওড়িশায় কাজে গিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পশ্চিম মেদিনীপুরের যুবক!
