নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রসঙ্গত, ১৭৬৬ থেকে ১৮৩৮ সাল পর্যন্ত চলেছিল চুয়াড় বিদ্রোহ। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই ক্রেছিলেন এলাকার অন্ত্যজ জনজাতির কৃষকরা। ইতিহাসে এই লড়াই পরিচিত চুয়াড় বিদ্রোহ নামে। এই লড়াইয়ের অন্যতম নেত্রী ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের কর্ণগড় এলাকায় রানি শিরোমণি। বছর কয়েক আগেই রানি শিরোমণির গড় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের মর্যাদা পেয়েছে। এই অঞ্চলে বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মের প্রভাব রয়েছে। জানা গিয়েছে, শিরোমণির গড়েই কয়েক বছর আগে এই পদচিহ্নের সন্ধান পান ‘হেরিটেজ জার্নি’ ও ‘রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ’-এর সদস্যরা। তাঁরাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে এই পদচিহ্নের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রত্নতাত্ত্বিক স্বীকৃতি ও সংরক্ষণের আবেদন জানিয়েছিলেন। তার পরেই ওই ‘পদচিহ্ন’ খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনকে একটি রিপোর্ট দেন শালবনি বিডিও রোমান মন্ডল। তিনি জানান, প্রাচীন এই স্থাপত্যে ধাপে ধাপে তিন স্তর পাথর খোদাই করা রয়েছে। একেবারে উপরিভাগে রয়েছে পদচিহ্ন। এবার ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলো। সন্দীপ সিংহ বলেন ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই ক্রেছিলেন এলাকার অন্ত্যজ জনজাতির কৃষকরা। ইতিহাসে এই লড়াই পরিচিত চুয়াড় বিদ্রোহ নামে। এই লড়াইয়ের অন্যতম নেত্রী ছিলেন রানি শিরোমণি। বছর কয়েক আগেই রানি শিরোমণির গড় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের মর্যাদা পেয়েছে। এবার আমাদের দীর্ঘদিনের আবেদন পূরণ হলো। তিনি ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে ।
