খড়গপুর অপূর্ব মজুমদার : ঈপ্সিতা মেমোরিয়াল স্টুডেন্টস বেনিফিট সোসাইটি উদ্যোগে ৩৫ তম বার্ষিক শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান হলো রবিবার ২৭শে এপ্রিল মালঞ্চ যুব সংঘ হলঘরে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিমপুরা আর্য্য বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রণজিৎ মাজি, সংস্থার ডিরেক্টর স্বপন সিনহা, সৌমেন চক্রবর্তী, অসীম নাথ, তপন সেনগুপ্ত, বি হরিশ কুমার, মহুয়া চ্যাটার্জি, কল্পনা যোশেফ, মুক্তি লাহিড়ী, মিঠুন চ্যাটার্জি প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সজল দত্ত, সভাপতি দীপক কুমার দাশগুপ্ত, সম্পাদক দিবাকর চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ আশিষ ব্যানার্জী প্রমূখ। প্রয়াত ঈপ্সিতা মজুমদার ছিলেন বর্তমান ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী ব্লকের একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। প্রয়াত রবীন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন সমাজসেবী। প্রয়াত ঈপ্সিতা দেবী কুড়ি হাজার টাকা রবীন্দ্রনাথ বাবুকে দিয়ে শর্ত দিয়েছিলেন ঐ টাকার সুদ থেকে প্রাপ্ত অর্থে দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য খরচ করতে হবে। স্বর্গীয় শিক্ষিকার ইচ্ছানুসারে সোসাইটি তৈরি হয় ১৯৮৬ সালে। ২০০০ সালে প্রয়াত হওয়ার আগে মালঞ্চ রোডে ও কে সেলুনের কাছে দীপক কুমার দাশগুপ্তের হাত ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন এবং ঈপ্সিতার দায়িত্ব তাঁকে নিতে হবে বলে আর্জি জানাতে থাকেন। জড়ো হয়ে যায় লোকজন। তাঁরাও বলেন দীপুদা আপনিই পারবেন। সেই থেকে তিনিই সভাপতি।

বহু সংস্থা দীপুভাই এর হাত ধরে যোগ দিয়েছেন ঈপ্সিতায়। করোনা পিরিয়ডে বন্ধ ছিল ঈপ্সিতার কাজ। আজ আবার শুরু হলো ১২ টা স্কুলের ১০০ জন দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করার মধ্য দিয়ে। ছিল আজিজিয়া স্কুল, জনকল্যাণ বিদ্যায়তন, জনকল্যাণ বালিকা বিদ্যায়তন, নিমপুরা আর্য্য বিদ্যাপীঠ, অতুলমনি পলিটেকনিক স্কুল, ভারতী বিদ্যাপীঠ প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক স্বপন কুমার সিনহা, সভাপতি ডাঃ দীপক কুমার দাশগুপ্ত,সহ-সভাপতি প্রবীণ যশবন্ত পূজারা,সোহান লাল খেত্রী,রামব্লিশ আগরওয়াল,সৌমেন চক্রবর্তী,পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়,সচিব দিবাকর চক্রবর্তী,সহ-সচিব সজীব মুখার্জি, কোষাধ্যক্ষ আশীষ বাঁধপাধ্যায় কমিটির সদস্যরা জয় ঘোষ হাজরা,মানস মন্ডল,আশিস পাল ,সজল দত্ত প্রমুখ।

রণজিৎ মাজি রবীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পর্কে বলেন তিনি অতি ভদ্র মানুষ ছিলেন। বেশভূষা ছিল অতি সাধারণ। তিনি বহু ছাত্র ছাত্রীকে সাহায্য করেছেন। ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বড়োদের শ্রদ্ধা ভক্তি করবে। তাঁদের কথা শুনে চলবে। তাহলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা পাবে। ভবিষ্যতে তোমরাও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংস্থার ডিরেক্টর স্বপন সিনহা, তপন সেনগুপ্ত, অসীম নাথ মহুয়া চ্যাটার্জি, মুক্তি লাহিড়ী প্রমূখ।