পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাহিত্য, সংস্কৃতিপ্রেমী গুণীজন উপস্থিতিতে মহাসাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো মেদিনীপুর লিটেরারি মিট। শাঁখের মাধ্যমে 'রাজ্য বৃক্ষ' ছাতিম গাছের চারায় জল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।পরে ছাতিম চারাটি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাতিম চারাটি রোপণ করে দেওয়া হয়।বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সভাগৃহে মেদিনীপুরের তরুণ কবিদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল এই চতুর্থ লিটেরারি মিট। সহায়তায় ছিল মেদিনীপুর পুরসভা। এবারের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী। সংগীত পরিবেশন করেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুপান্থ বসু।এবারের প্যানেলে ছিল কবিতা, গদ্য ও নাটক নিয়ে আলোচনা। কবিতা প্যানেলের আলোচনার বিষয়ে ছিল, 'অধিক মেধা এবং মননের চর্চা কি কবিতায় মৌলিক স্বরের ক্ষেত্রে আলোচক ছিলেন সুমন গুণ, নিতাই জানা ও পায়েল সেনগুপ্ত। এই পর্বের সঞ্চালক ছিলেন অনিমিখ পাত্র। গদ্য প্যানেলের আলোচনার বিষয় ছিল, 'বর্তমান ক্রীড়া সাহিত্য ও আধুনিক সমাজ'। আলোচক ছিলেন, সব্যসাচী সরকার ও তন্ময় চক্রবর্তী। এই পর্বের সঞ্চালক ছিলেন অর্পণ গুপ্ত। নাটক প্যানেলের আলোচনার বিষয় ছিল, 'শক্তিশালী হলেও জনপ্রিয় অভিনেতা বা অভিনেত্রী না থাকলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসে না। বাস্তব কি এটাই?' আলোচক ছিলেন আশীষ চট্টোপাধ্যায় ও অভি চক্রবর্তী। এই পর্বের সঞ্চালক ছিলেন সায়ন ভট্টাচার্য। এদিন 'মেদিনীপুরের সাহিত্যচর্চা' বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মৃদুল শ্রীমানী। অর্পিতা কুণ্ডু, অচিন্ত মারিক, দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোনালী ঘোষ, রাজদীপ পুরী, উষসী কাজলি, সব্যসাচী মজুমদার সহ দক্ষিণবঙ্গের ১২ জন বিশিষ্ট কবি এদিন কবিতা পাঠ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোম চক্রবর্তী ও কুমারেশ দে।উপস্থিত সকল আলোচক, কবি, অতিথি, দর্শক ও শ্রোতাকে একাধিক আন্তরিক উপহারের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল । সভা প্রাঙ্গণে ছিল বই ও লিটল ম্যাগাজিন স্টল।