Skip to content

রেলের ব্যাপারে তুঘলকি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য অসুবিধার কারণ হচ্ছে!

পশ্চিম মেদিনীপুর সুমন পাত্র : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনারোডে একটি পণ্য ট্রেনের ব্যাঘাত ঘটেছে, যার ফলে মেন লাইনে মেমু লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।আদ্রা মেদিনীপুর শাখা দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের একটি বিভাগ। এই শাখায় ট্রেন চলাচল নিয়ে অনেক যাত্রীর অভিযোগ রয়েছে। আজ, একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে যা আপনাকে হতবাক করবে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী আদ্রা মেদিনীপুর মেমো লোকাল ট্রেন মেদিনীপুরের বদলে চন্দ্রকোনারোডে চলে গেল। এটি যাত্রীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছিল কারণ তারা চন্দ্রকোনারোডের মধ্যবর্তী লাইনে ট্রেন থামার আগে মাত্র 30 কিলোমিটারেরও কম পথ পাড়ি দিয়েছিল। দুটি মালবাহী ট্রেন উভয় পাশে দাঁড় করানো ছিল এবং যাত্রীদের তাদের উঠতে হয়েছিল। সবশেষে, মেমু লোকাল ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে আদ্রার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, যার ফলে প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রেল যোগাযোগ ভারতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় প্রতিদিন এই রেল লিঙ্ক দিয়ে যাতায়াত করে। এই ঘটনাটি ভারতের রেল যোগাযোগের বেহাল দশার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্ট ওয়েস্ট ফ্রেট করিডোর নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রেলওয়ের গাফিলতি স্পষ্ট। ভারত সরকার দাবি করে যে বুলেট ট্রেন দিগন্তে রয়েছে, কিন্তু রেলওয়ের বোকামী সিদ্ধান্তের কারণে, অক্ষম এবং বয়স্ক সহ অনেক যাত্রী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই ঘটনাটি আবারও যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রতি রেলের অবহেলা এবং উদাসীনতা তুলে ধরেছে, যার ফলে কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো বা ডাবল ডেকার ট্রেনের মতো উদ্যোগগুলিকে অকার্যকর বলে মনে হচ্ছে৷ এটা স্পষ্ট যে রেলের মূল উদ্দেশ্য যাত্রীদের দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ রাখা নয়। মজার বিষয় হল, 1975 সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়, সমস্ত ট্রেন সময়মতো চলত, কিন্তু এখন, ভারতের উন্নয়ন সত্ত্বেও, যাত্রী নিরাপত্তা চরমভাবে অবহেলিত হচ্ছে। আদ্রা মেদিনীপুর শাখার যাত্রীরা ভাবছেন কখন ভারতীয় রেল তাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে এবং আরও দুর্ঘটনা রোধ করবে।

Latest