নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানির দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায়, সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কত দূর এগিয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ ত্রিবেদী জানান, "কাজ শুরু হয়েছে আর কিছু সময় লাগবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।" উল্লেখ্য, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে রাজ্যের ২৮টি হাসপাতালের জন্য অতিরিক্ত ৮৯৩টি ডিউটি রুম, ৭২৪টি শৌচাগার, ৪,৩৪৮টি আলো ও ৬,১৭৮টি সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করা হয়েছিল। তাঁদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। এদিকে আদালতে রাজ্য জানায়, হাসপাতালগুলিতে আলো বসানোর কাজ ৩৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। যা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ২৬ শতাংশ হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণ ও ডিউটি রুম নির্মাণের কাজ হয়েছে ৪০ ও ৪৯ শতাংশ। বাকি কাজগুলি চলতি মাসেই শেষ করা হবে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আলাদা রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য। রিপোর্ট টিতে বলা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে দাবি করা হয়েছিল অতিরিক্ত ৭১টি ডিউটি রুম, ৪৫টি শৌচাগার, ২৫০টি আলো, ৫৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসানোর। রাজ্যের তরফে সব দাবিই মানা হয়েছে। তারই মধ্যে এখনও পর্যন্ত বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ২৫৫টি সিসি ক্যামেরা। আলো বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ৪০ শতাংশ। সিবিআই তদন্ত চলছে তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছাড়পত্র মিললে ডিউটি রুমের কাজ শুরু করা হবে। আরজি কর হাসপাতালেও সব কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্যকে হাসপাতাল সংক্রান্ত ওই সব কাজ চেষ্টা করতে হবে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ অক্টোবর।