নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ যুবরাজ সিংয়ের জন্মদিন। ৪২ বছরে পা রাখলেন তিনি।ভারতীয় ক্রিকেট দলের ছক্কার রাজা তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ভেবে দেখলে বলা যায়, যুবরাজ সিংয়ের দ্বিতীয় জন্ম। কারণ ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় তিনি মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা রোগে আক্রান্ত হন। এটি একটি বিরল ধরনের ক্যান্সার, যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ২০১১ সালে ভারতীয় দল ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পর, যুবি জানতে পারেন তিনি এই রোগে আক্রান্ত।বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে চাননি যুবি। তাই এসব সমস্যাকে উপেক্ষা করে খেলেছিলেন তিনি। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বল এবং ব্যাটে দুরন্ত পারফর্ম করেন। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব জিতে নেন।এপ্রিল মাসে ভারতে ফেরেন ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। তাঁর লড়াকু মানসিকতা ও জেদের জেরে সে বছরই সেপ্টেম্বরে ভারতের জার্সি চাপিয়ে আবার খেলা শুরু করে দেন যুবরাজ।পরবর্তীতে যুবরাজ সিং তাঁর ক্যান্সারের সময়কার কথা, লড়াইয়ের দিনগুলো নিজের আত্মজীবনীতে তুলে ধরেন। ক্যান্সার আক্রান্ত বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুবরাজ সিং।ভারতের জার্সিতে ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল অবধি খেলেছেন যুবরাজ সিং। দেশের হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই খেলেছেন যুবি। ৪০টি টেস্টে তাঁর প্রাপ্তি ১৯০০ রান ও ৯টি উইকেট। ৩০৪টি ওডিআইতে করেন ৮৭০১ রান ও নেন ১১১টি উইকেট। এবং ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তিনি, তাতে করেন ১১৭৭ রান এবং নেন ২৮টি উইকেট।ভারতকে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন যুবরাজ সিং। যে সময় ভারতীয় ক্রিকেটাররা এবং দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বাসে মাতামাতি করছেন, তখন জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন যুবরাজ সিং।