Skip to content

১৯ শে মে এর ভাষা শহিদদের স্মরণে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের উদ্যোগে পদযাত্রা!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৯শে মে এর ভাষা শহিদদের স্মরণে রবিবার সকালে মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। ১৯৬১ সালের ১৯ মে অসমের বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষাথ মর্যাদা রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত জণগণের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন ভাষা সৈনিক শহিদের মৃত্যু বরণ করেন। ঐ দিনের কথা স্মরণ রেখে রবিবার সকালে মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়া সোসাইটির উদ্যোগে ভাষা শহিদদের স্মরণ পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণের সম্মুখভাগে কাজী নজরুল ইসলামের পূর্ণাবয়ব মূর্তির পাদদেশে ভাষা শহিদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান,পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও নজরুল মূর্তির পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি সূচনা হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচির পরে পদযাত্রা শুরু গান্ধী মোড় হয়ে পদযাত্রা পঞ্চুর চকে রবীন্দ্র মূর্তি পাদদেশে পৌঁছায়। সেখানে রবীন্দ্র মুর্তিতে মাল্যদান ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উভয় স্থানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে দিনটির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট বাগ্মী, মেদিনীপুরের এনসাইক্লোপিডিয়া নন্দদুলাল ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডাঃ বিমল গুড়িয়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ড.বিবেকানন্দ চক্রবর্তী। ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রথীন দাস,মাতুয়ার মল্লিক, ড.অমিতেশ চৌধুরী, আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী শিক্ষিকা স্বাগতা পান্ডে, বাচিক শিল্পী শিক্ষা প্রশাসক কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী শিক্ষক অর্ণব বেরা, শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায় প্রমুখ। এছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.বিশ্বজিৎ সেন, খাকুড়দা ভগবতী দেবী শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড.সিদ্ধার্থ মিশ্র,বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী সোমা চট্টরাজ, তরুণ থিয়েটারের সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুন্ডু, নাট্যশিল্পী ও পরিচালক ইন্দ্রদীপ সিনহা,কেশপুর কলেজের অধ্যাপক ড.শান্তনু পান্ডা, প্রধান শিক্ষক সুরেশ কুমার পড়িয়া,শিক্ষক সুরজিৎ ঘোষ, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী ঘনশ্যাম ঘোড়াই, শিক্ষক গোলাম নবি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর লাফিং ক্লাবের সদস্যরা। মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আল্পনা দেবনাথ বসু, গৌতম বসু,ড.প্রসূন কুমার পড়িয়া, স্নেহাশিস চৌধুরী,শবরী বসু, সুদীপ কুমার খাঁড়া,সৌনক সাহু,ড.শুভ্রাশু শেখর সামন্ত, নরসিংহ দাস,সূর্যশিখা ঘোষ,মৃত্যূঞ্জয় সামন্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্নেহাশিস চৌধুরী ও সুদীপ কুমার খাঁড়া। উল্লেখ্য ১৯৬১ সালের ১৯ শে অসমের বরাক উপত্যাকার শিলচরে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদের মৃত্যুবরণ করেন ১১ জন ভাষা সেনানী।শহিদ হন কমলা ভট্টাচার্য্য, হিতেশ বিশ্বাস, কানাইলাল নিয়োগী,সুনীল সরকার,সুকোমল পুরকায়স্থ,তরণী দেবনাথ,শচীন্দ্র পাল,কুমুদরঞ্জন দাস,সত্যেন্দ্র দেব,বীরেন্দ্র সূত্রধর, চণ্ডীচরণ সূত্রধর। কমলা ভট্টাচার্য্য বিশ্বের প্রথম মহিলা ভাষা শহিদ। এঁদের মূলদাবী ছিল বাংলাকে অসমের সরকারী ভাষা হিসাবে দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত বাংলা অসমের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

Latest