Skip to content

পশ্চিমবঙ্গে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত সমাজকর্মীদের নিয়ে ৩৮তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে!

1 min read

অরিন্দম চক্রবর্তী : খড়গপুর ভলনটারি ব্ল্যাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনের আয়োজনে ও ফেডারেশন অফ ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস ওয়েস্ট বেঙ্গলের সহযোগিতায় আগামী ৭,৮,৯ই নভেম্বর গোল বাজারের ভারত স্কাউটস এন্ড গাইডস ডিসট্রিক্ট হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত হতে চলেছে ৩৮ তম রাজ্যের সম্মেলন। মূলত: চারটি বিষয়ে যেমন শতকরা হারে সবাই যেন রক্ত দান করতে পারে, থ্যালাসেমিয়ার হার শুন্যে নামানো, নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন এবং সারা ভারতবর্ষে রক্তের স্বতন্ত্র আইন যাতে তৈরি হয়, তার চেষ্টা শীর্ষক আলোচনা হবে বলে ২৬ শে অক্টোবর ২০২৫ তাং গোলবাজার রবীন্দ্র ইনস্টিটিউটে এক প্রেস মিটে এ কথা জানান কর্মকর্তারা। এই দাবিগুলো গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ফেডারেশনের দীঘা সম্মেলনে ও গৃহীত হয়েছিল বলে জানান। এদিন আয়োজকরা বলেন প্রায় কুড়িটি জেলা থেকে প্রতিনিধি রা তো আসবেন সেই সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য যেমন ঝাড়খন্ড , ত্রিপুরা থেকেও প্রতিনিধিরা আসবেন। মোট ১৪০ জন প্রতিনিধি থাকার কথা এবং এই শহরের জন্য আরও দশজন প্রতিনিধি থাকার কথাও বলেন উদ্যোক্তারা।

৪৯ টি ফেডারেশন ও ১৭৫ টি অ্যাসোসিয়েশন উপস্থিত থাকবে বলে জানা যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আয়োজকরা বলেন সারা বাংলায় ৮৯ টি ব্লাড সেন্টার তৈরি হয়েছে। একমাত্র এই রাজ্যেই ভলান্টারী সার্ভিস চালু আছে অন্যান্য রাজ্যে টাকা দিয়ে রক্ত নিতে হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্যোক্তারা বলেন পশ্চিম মেদিনীপুর রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে এরপর রয়েছে নদীয়া, বাঁকুড়া। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণ বঙ্গ এগিয়ে রয়েছে। সারা ভারতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে বলে জানান। কারণ হিসেবে উনারা বলেন-আমরা স্কুল লেভেল থেকে রক্তদানের উৎসাহ দিয়ে আসছি। তাই যুবক যুবতীদের মধ্যে জীবনে অন্তত একবার স্বেচ্ছায় রক্তদানের প্রবণতা দেখা যায়। তারপর সরকারিভাবে আমরা রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাহায্য পেয়ে থাকি। ইদানিং প্রত্যন্ত জায়গার জন্য মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ চলছে। সম্মেলনে প্রথম দিন বিগত সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশ গুলির পর্যালোচনা এবং রক্তদান আন্দোলনের পর্যায়ক্রমিক ক্রমবিকাশ ,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাত্র সমাজ ও যুব শক্তির সক্রিয়তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গৃহীত হবে। দ্বিতীয় দিন একটি পদযাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে চিন্তার ঐক্য ভবিষ্যতের দিশা। এছাড়া আলোচিত হবে রক্তদান আন্দোলনকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবা ভাবনার মানোন্নয়ন, বিতর্কে থাকবে আত্মতৃপ্তি সমাজসেবা আত্ম প্রতিষ্ঠা নয়। তৃতীয় দিন আলোচনায় থাকবে ১৯৮০ থেকে ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সম্মেলনের ভাবনা। এদিন উপস্থিত ছিলেন পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, প্রাক্তন অধ্যাপক তপন কুমার পাল বাচিক শিল্পী কৃশানু আচার্য। এছাড়া ছিলেন সুমন দাস, কৌশিক মন্ডল, বিজন লাল দত্ত, সজীব মুখার্জি ও আরো অনেকে। ফেডারেশন থেকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি থেকে আগত নরেন বাড়ুই।

Latest