ঢাকা, জাকির হোসেন: জামিন পেলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবীরা। সোমবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম আদালত। যাঁরা জামিন পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল।গত বছরের ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। তার পরদিন, চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয় তাঁকে। সেদিন তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। সেই সময়ে আদালত চত্বরে সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন এবং হত্যা মামলাও করা হয়। সোমবার, ওই ৬৩ জন আইনজীবীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার।রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে। গত ২ জানুয়ারিও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তবে, সোমবার তাঁর আইনজীবীদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন আইনজীবীরা। তাঁদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জানান, এই মামলায় যে আইনজীবীদের অভিযুক্ত করা হয় তাঁরা কেউই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যিনি এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি নিজেও ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ওই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রিপোর্টও জমা দিতে পারেননি। সেই কারণেই আদালত তাঁদের শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে ওই আইনজীবীদের জামিন দিয়েছেন। এদিন ওই ৬৩ আইনজীবী জামিন পেতেই সেখানে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আদালত চিন্ময়প্রভুর আইনজীবীদের জামিন দিলেও তাতে সন্তুষ্ট নন সরকারি আইনজীবী সামশুল আলম। তিনি জানান, এর আগে বিস্ফোরক আইন মামলায় জেলা আদালত থেকে কেউই জামিন পাননি। আলিফ হত্যা মামলার সরকারি আইনজীবী জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, আদালত ওই আইনজীবীদের জামিন দেওয়ায় তাঁরা ব্যথিত হয়েছে। এই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ৬৩ আইনজীবী সহ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনেক অনুগামীকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের নামে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেখানের হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, চিন্ময়ের জামিন শুনানিতে বাধা দেওয়ার জন্যই হিন্দু আইনজীবীদের নামে মামলা করা হয়।