স্পেন: ২ (নিকো, ওয়ারজাবাল)
ইংল্যান্ড: ১ (পালমার)
নিজস্ব সংবাদদাতা : ১২ বছর পর আবার ইউরো জয় স্পেনের। ইউরো কাপ ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হল তারা। অন্যদিকে এবারেও খালি হাতে ফিরতে হল ইংল্যান্ডকে। বাড়লো ৬৬ বছরের অপেক্ষা। টানা দুইবার এতো কাছে এসে খালি হাতে ফিরতে হলো। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে স্পেন দেখিয়েছে তাদের ডোমিনেশন। এক কথায় ডোমিনেশন কাকে বলে,স্পেন দেখিয়ে দিলো। পাত্তাই পেলেন না জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ডের মতো দল তাদের তরুণ-তুর্কিদের কাছে। ফুটবল প্রেমীদের দিয়েছেন সুন্দর খেলার উপহার। ফাইনালে ইংল্যান্ডের কঠিন ডিফেন্সকে ভেঙে, ওয়াকারের মতো অভিজ্ঞকে বোকা বানিয়ে নিকোর গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। যদিও সাবস্টিটিউট পালমারের গোলে সমতা ফেরান ইংল্যান্ড। এক সময় যখন মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের আধিপত্য বাড়ছে, তখন স্পেন পরিচয় দিয়েছে হার না মানার মানসিকতার। খেলা যখন অন্তিম পর্যায়ে সেই সময় ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেকটি পুতেন ওয়ারজাবাল। পুরো ইউরোতে সুযোগ না পাওয়া ওয়ারজাবাল একটা সুযোগই তার দেশকে ইউরো জেতাতে সক্ষম এটা প্রমান করছে। লামিন থেকে ওয়ারজাবাল, নিকো থেকে ওলমো, কর্বাহাল থেকে কুকুরেলা সবাই নিজেদের সেরা টা দিয়ে স্পেনই যে যোগ্য চ্যাম্পিয়ন তা প্রমান করেছে। টুর্নামেন্টের ৭ ম্যাচের ৭ টাই জিতেছে স্পেন, গড়েছেন রেকর্ড। যার কথা না বললে হয়না কোচ লুই দে লা ফুঁয়েন্টে, দীর্ঘ ২৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে কোনোদিন টপ ফ্লাইটে কোচিং করানো হয়নি, ২০ বছরের বেশি সময় ছিলেন বয়সভিত্তিক দলের কোচ। স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্তে ছিলেন ৯ বছর। সেখানে অনূর্ধ্ব - ২১ ইউরো জিতিয়েছেন । তাকে দায়িত্ব দেওয়ায় শুনতে হয়েছিল অনেক কটুক্তি। যদিও ট্রফি এনে দিয়েছিলেন বয়স ভিত্তিক খেলায়। আবার এই লোকের অধীনেই দেড় বছরের মধ্যে স্পেন পেয়েছে নেশন্স লিগ , এবার জিতলো ইউরো কাপ। মূলত স্পেনের খেলার ধরন পরিবর্তন হল তারই হাত ধরে এনরিকের ক্লুলেস পাসিংয়ের জায়গায় নিয়ে আসলেন ফ্লুইড অ্যাটাকিং ফুটবল। যেমন সুযোগ দিয়েছেন লামিন, নিকোর মত ইয়াংস্টারদের তেমনি অভিজ্ঞ মোরাতা, হসেলু,নাভাসের উপরেও ভরসা রেখেছেন। তাহলে কি স্পেনের স্বর্ণ যুগ ফিরতে চলেছে ফুঁয়েন্টের হাত ধরে।