বাঁকুড়া নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঁকুড়ার জয়পুর রাজষোল গ্রামে ফুলবাঁধ খনন করতে গিয়ে উদ্ধার হল প্রাচীন দেবীর মূর্তি আর মূর্তি দেখতে অগণিত মানুষের ভিড়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি বাঁধ মাটি পড়ে বুঝে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল,সেই বাঁধ আবারো পুনর খনন শুরু হয় কয়েক মাস আগে। সেই খনন কাজ করার সময় জেসিপি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় পাথরের মূর্তি কোনক্রমে ট্রাক্টরে করে মাটির সাথে চলে আসে লোকের খামারে, আর সেই খামারে মাটি সরজমিন করার সময় উদ্ধার হল ভাঙাচোরা দেব দেবীর মূর্তি, আর সেই মূর্তি উদ্ধার হওয়া খবর শুনে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন,দেখতে ভিড় জমান রাজশোল গ্রামের নামঃ পালপাড়া পূর্ণ বুড়ির তলায়। এই পুণ্য বুড়িও উদ্ধার হয়েছিল পুণ্য বুড়ির স্নান করা পুকুর নামে পরিচিত ফুলবাঁধের জল থেকে। তখন থেকে গ্রামে পুন্য বুড়ির রূপে পূজিত হন মা। আবারো কয়েক দশক বাদ ও একই পুকুর থেকে উদ্ধার হলো মূর্তি তবে এই মূর্তি কোন দেবতা বা দেবীর বোঝা যাচ্ছেনা কেউ বলছেন বিষ্ণু কেউ বলছেন কৃষ্ণ কেউ বলছেন রাধিকা কেউ বলছেন লক্ষী, তবে মূর্তি যে দেবতার হোক সেই মূর্তিকে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি।। তাহলে কি মল্ল রাজার রাজত্বে প্রতিষ্ঠা হওয়া মূর্তি। মাটির তল থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক। নাকি এই বাঁধ প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় এই মূর্তি প্রতিষ্ঠাও করা হয় বাঁধের মাঝখানে। তা না হলে কিভাবে বাঁধের মাঝে এল, কারা রেখেছিল এই মূর্তিগুলো নাকি ঐখানে কোন বড় মন্দির প্রতিষ্ঠাতা হয়েছিল বহু যুগ আগে যা মোল্লারা রাজত্বের বহু আগে। এখন গ্রাম বাংলার মানুষের মনের মধ্যে জাগছে কৌতূহল ।