নিজস্ব সংবাদদাতা : কোটা বিরোধী আন্দোলনে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে বুধ এবং বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার রাতে জানা গিয়েছিল, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। শেষ রাতে জানা যায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫-এ। গুলিবিদ্ধ-আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বহু মানুষ। শুক্রবার সকালে অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সে দেশে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০। তবে সংবাদসংস্থা এএফপির মতে সংখ্যাটা ৩২।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। গত সোমবার থেকে ভয়ংকর আকার নিয়েছে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। সূত্রের খবর, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে জোর করে।
দেশের রাজধানী ঢাকা সহ, সারা দেশ ব্যাপী ব্যাপক আকার নিয়েছে কোটা বিরোধী এই আন্দোলন। শুধু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা পথে নেমেছে। বাংলাদেশের রাস্তায় এখন বিক্ষোভ, স্লোগানের সুর, আন্দোলনের রেশ আর সংঘর্ষের দাগ। গোটা দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃহপতিবার রাতেই জানা গিয়েছিল, আহতের সংখ্যা কয়েকশ থেকে ছাড়িয়ে অন্তত আড়াই হাজারে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়েই শুরু আন্দোলনের। বৃহসপতিবার আন্দোলনের মাঝেই গোতা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হয়, তার মাঝি দিনভর ব্যাপক সংঘর্ষ, আন্দোলন চলে দেশের নানা প্রান্তে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলনকারীরা। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা। রামপুরায় বিটিভি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটান বিক্ষুব্ধরা।
বাংলাদেশ প্রশাসনের মতে, বৃহস্পতিবার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তাদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মেহেদি নামে এক সাংবাদিক। তিনি স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী এবং আন্দোলনকারীরা। উত্তাল বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। সরকারিভাবে আহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বাংলাদেশের তরফে। তবে সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা শতাধিক।