Skip to content

ঝাড়গ্রাম জেলার আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন চোরচিতা গ্রামের রুমা ভদ্র!

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : নাতনির বিয়ের উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে পোস্ট অফিসে নিজ নামে ১০ হাজার টাকা রেখেছিলেন রুমার শাশুড়ি অনুছায়া ভদ্র আর নমিনি ছিলেন বৌমা রুমা । ২০১৮ সালে শাশুড়ি অনুছায়া ভদ্র মারা যাওয়ায় বৌমা রুমা ক্লেম করতে গেলে ঘটে বিপত্তি । পোস্ট অফিস কতৃপক্ষ জানান ক্লেম করতে হলে শাশুড়ির মৃত্যুর সংসাপত্র লাগবে । এদিকে শাশুড়ির মৃত্যু সংসাপত্র রুমার ভাসুরের কাছে থাকায় ভাসুর মৃত্যু সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ করেন  ঝাড়গ্রাম জেলার দক্ষিণে বেলিয়াবেড়া ব্লকের চোরচিতা গ্রামের রুমা ভদ্র । সমস্যার সমাধানের জন্য বেলিয়াবেড়া ব্লকের "অধিকার মিত্র" রীতা দাস দত্তের মাধ্যমে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে রুমা লিখিত আবেদন জানান , রুমার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে রুজু হয় প্রি লিটিগেশান মামলা । মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ভাসুরকে , প্রথম শুনানিতেই বিচারকের উপস্থিতিতে ভাসুর মৃত্যু সার্টিফিকেট রুমাকে দিয়ে দেন । রুমা শাশুড়ির মৃত্যু সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেও বিচারকের কাছে অনুরোধ জানান - আমি একজন মহিলা , আমার পায়ের সমস্যা রয়েছে , পোস্ট অফিস সম্বন্ধে আমার কোনো ধারণা নেই আপনার কাছে অনুরোধ আমি যাতে টাকা হাতে পাই তার সমস্ত ব্যবস্থা করতে । রুমার অনুরোধে বিচারক "অধিকার মিত্র" রীতা কে নির্দেশ দেন পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যাটি দ্রুত মিটানোর জন্য ।

রুমা শুক্রবার একাউন্টের মাধ্যমে ২৪২০৩ টাকা পেয়েযান , আজকে বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে এসে সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার কে ধন্যবাদ জানান রুমা , তিনি জানান - মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম , এই টাকা হাতে পাবো বলে আসা ছেড়ে দিয়েছিলাম , গ্রামের কিছুজন আমাকে অধিকার মিত্র রীতার কথা বলেন , আমার ছয় বছরের সমস্যার সমাধান অভিযোগ জানানোর তিন মাসের মধ্যেই বিনা মূল্যে সমাধান হলো এখন নিশ্চিন্তে মেয়ের বিয়ে দিতে পারবো।

Latest