ঢাকা, জাকির হোসেন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য শোকজ্ঞাপন করার সঙ্গেই সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। যেকোনও প্রয়োজনে ভারত সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই বার্তার পরেই সরকারি ভাবে বাংলাদেশের সরকারকে চিঠি লিখল ভারতের দূতাবাস। ভয়ঙ্কর এই বিমান দুর্ঘটনার পরে কোনওরকম প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো প্রয়োজন রয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছে ভারতীয় দূতাবাস। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার জন্য কোনও কিছু প্রয়োজন হলে ভারতীয় দূতাবাস দ্রুত সেই ব্যবস্থা করবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা অবধি মোট ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর তথা আইএসপিআর।নিহত ৩১ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৬, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ২, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১ ও ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জন রয়েছেন। আইএসপিআরের তালিকা অনুযায়ী এই ঘটনায় মোট আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা: সোমবার বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান এফ-৭ (আদতে এটি চিনের তৈরি যুদ্ধবিমান)। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি। ফাঁকা জায়গায় বিমানটি নিয়ে যাওয়ার বহু চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। শেষ অবধি স্কুলটির উপর আছড়ে পড়ে। যুদ্ধবিমানের বৈমানিক তথা বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর মারা গিয়েছেন। স্কুলের অনেক পড়ুয়া মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে সেই কারণেই সাহায্যের হাত বাড়াতে চাইছে ভারত। ২১ জুলাইয়ের দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছে বাংলাদেশে৷