Skip to content

মেদিনীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ডেপুটেশন!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলা অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস (এ এস এফ এইচ এম) এর পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এর মেদিনীপুর আঞ্চলিক অফিসে মঙ্গলবার ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ২৯/১২/২০২৩ এর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সার্কুলার এর প্রতিবাদে এই ডেপুটেশন। সার্কুলারের উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, ২০২৩ সালে নবম শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন বাকি থাকলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা মুচলেকা না দেন ততক্ষণ পর্যন্ত ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের অবমাননাকর এবং অপমানজনক সার্কুলার জারি করা হয়নি। কি কারনে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের মুচলেকা দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ল তা সংগঠনের অজানা। তবে এ সার্কুলার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে চরম অপমানিত করেছে তা এই ডেপুটেশনে আঞ্চলিক অফিসারের কাছে তারা তুলে ধরেন উপস্থিত বিদ্যালয় এর প্রধানগণ এবং তারা এও বলেন যে যদি এই সার্কুলার এই কালা সার্কুলার প্রত্যাহার না করা হয় পর্ষদের তরফে তাহলে অ্যাডমিট কার্ড বিতরণের দিন তারা অ্যাডমিট কার্ড নেবেন না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যেহেতু ফরম ফিলাপ ফি নিয়েছে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেওয়ার সমূহ দায়িত্ব পর্ষদেরই তা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নয়। পরীক্ষার্থীরা অনুরূপ ক্ষতিগ্রস্ততার সম্মুখীন হলে পর্ষদ দায়ী থাকবে। এ বার্তাও তুলে ধরা হয়। আঞ্চলিক অফিসার পার্থসারথি গোস্বামী খুবই সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি শোনেন এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা তুলে ধরবার এবং সমস্যার সমাধান করবার সমূহ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন। ৫ টি জেলার প্রায় ৬০ জন প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা এই ডেপুটেশনে অংশগ্রহণ করেন।

Latest