পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর সদর মহকুমার মহকুমা শাসকের নিকট জমা জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি ও নিকাশী ব্যাবস্থার সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মেদিনীপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি পাড়া এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ২০০ ফুটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্যের একটি অংশে নর্দমার জল এসে জমা হচ্ছে ।অপরিকল্পিতভাবে একটি ড্রেন হঠাৎ করে তৈরি করার জন্য, সেই ড্রেনে আসা সমস্ত নোংরা জল রাস্তার উপর জমা হচ্ছে এবং এলাকার পরিবেশকে দূষিত করছে।এই রাস্তা দিয়ে দুটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত করে, মেদিনীপুর -খড়্গপুরের এর বিভিন্ন স্কুলে পাঠরত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত করে, সেই সঙ্গে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করেন।এছাড়াও এলাকার বাসিন্দা য়নন এমন বহু মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।সামনেই বর্ষার মরসুম। বর্ষা নামলে শুধু রাস্তা নয় ,এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। দু'বছর আগেও এই এলাকা বর্ষার জলে প্লাবিত হয়েছিল।প্রায় দু মাসের কাছাকাছি সেই সময় জল জমে ছিল। মোটর দিয়ে জল সেচ করে সেই সময় জল কমানো হয়েছিল। তারপরেও এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান হয় নি। এলাকার বাসিন্দারা ১৪ই জুন মেদিনীপুর পুরসভার পৌর প্রধান তথা ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন খানের বিষয়টি জানাতে গিয়েছিছেন। কিন্তু সেখানে এই সমস্যা সমাধানের বিশেষ কোনো আশ্বাস পাননি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাই এলাকার প্রায় ২০০ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শুক্রবার এলাকার বাসিন্দারা মেদিনীপুর সদর মহকুমার মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জির নিকট ডেপুটেশন দেন। মহকুমা শাসক বিষয়টি অতি দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।আপাতভাবে যে জলটি জমা হচ্ছে কিভাবে বের করা যায় এবং সেই সঙ্গে আগামী দিনে এলাকার নিকাশিসমস্যার সুরাহা করা যায় সেই উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এবিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোন পদক্ষেপ না নিলে এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলে জানিয়েছেন।