নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলার মাঠে-ঘাটে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে স্টার প্রার্থী দেবকে। ঘাটালে ব্লকবাস্টার প্রচারের সাথে সাথে বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, হাওড়াতে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে । এসবের ফাঁকেই বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমের কাছে হাজির হয়ে ফের রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের পাঠ দিতে দেখা গেল তৃণমূলের স্টার প্রার্থীকে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিঠুনকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করেন ভোটপ্রচারের ময়দানে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার এমপি করেছিলাম। কিন্তু তখন তো জানতাম না ও এত বড় গদ্দার। এই প্রসঙ্গে দেবকে জিজ্ঞেস করা হলে সঞ্চালকের উদ্দেশে দেব সোজাসাপটা বলেন, “এই শব্দগুলো আমার খুব একটা ভালো লাগে না। দিদির এই ফুটেজটা দেখালে, মোদিজীর ফুটেজও দেখাও। যেখানে উনি দিদি ও দিদি বলছেন। যে ইভটিজিংটা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন মানুষ রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে একথা বলছেন। হাজার হাজার মানুষ মঞ্চ থেকে সেকথাটা শুনছে। সেটা দাদা হোক বা দিদি। আসলে নির্বাচন এলেই তো আমরা হিন্দু-মুসলিম হয়ে যাই। আমি এই শব্দগুলোর বিরুদ্ধে।” দেব আরও বলেন, “মিঠুনদা আমার বাবার মতো। ওঁর শরীর খারাপ হলে আর যদি কিডনি লাগে, তাহলে আমি মিঠুনদাকে কিডনি দিতে পারি।” এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানান তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেবের সুসম্পর্কের কথা কারওরই অজানা নয়। ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই এমনকী রাজনৈতিক মহলেও দুই তারকা রাজনীতিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বেজায় চর্চা। তৃণমূল-বিজেপি একে-অপরকে যতই কাদা ছোড়াছুড়ি করুক না কেন, মিঠুন-দেবের রাজনৈতিক মতাদর্শে ফারাক থাকলেও তাঁদের জুটি সুপারহিট। এপ্রসঙ্গে দেব একবার বলেছিলেন, “যে রাজনীতি সম্পর্ককে সম্মান দেয় না, সেই রাজনীতি করি না। এটা আজকের নয়, এটা আমি ১০ বছর ধরে পালন করে এসেছি। আমার কাছে আমার সম্পর্ক, আমার কাছে আমার কাছের মানুষরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা কোন দল করছে, কী ভাবছেন সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।”