( "কালো মেয়ের পায়ের তলায়
দেখে যা আলোর নাচন...")
পায়ের পাতাটি শিশিরে শিশিরে আঁকে,
ভোরের আলোয় নীলদিগন্ত হাসছে;
কাল রাতে শেষ খেয়াকে বলেছে বৃষ্টি--
মাঠে প্রান্তরে অগ্রহায়ণ আসছে...
ও কালো মেয়ের নাম যদি হয় শ্যামা,
আলোর আকাশে তাকে ডাকি দীপাবলি;
ভীরু হৃদয়ের নিভৃত সিংহাসনে,
গ্রাম ছাড়া ওই আলপথ ধরে চলি।
পথ হারানোর নেশাটুকু সম্বল,
সোনামন, তবু তোমাকে তো হারাবো না;
দূরপাল্লায়,গোধূলি-দিগন্তের,
হাতছানিতেই তারাদের আনাগোনা !
আসলে জানিনা, কোন কূলে, অকারণে,
ক্লান্ত স্বপ্ন পা ডুবিয়ে দেবে জলে ;
নাছোড়বান্দা হালকা নিম্নচাপ,
পাড় ভেঙে দেবে কৌশলে, ছলে-বলে ?
তবুও যে ক্ষণ খুউব নিঃসাড়ে আসে,
শিউলির শেষে, ম্লান হয়ে গেলে কাশ ;
তার হাত ধরে রূপসী অন্ধকার,
কান পেতে শোনে পৃথিবীর নিঃশ্বাস।
নদীমাতৃক সভ্যতা বাঁচে আশায়,
আকাশপ্রদীপে, নকশি কাঁথায় বোনে ;
সোনার ফসল, অথবা নিঃস্ব মুঠি,
মায়ায় জড়ানো রজনীকান্ত শোনে !
যেন অহেতুক, কিন্তু মনখারাপে,
জানি পারবো না, তবুও তুলিতে আঁকি;
অমাবস্যার গাঢ় নির্জনে আমি,
শ্যামা মেয়েটিকে দীপাবলি নামে ডাকি...