নিজস্ব সংবাদদাতা : লোকসভা ভোটের দুমাস পরে ঘাটালবাসী জলযন্ত্রনা কমল না। পুজোর মুখে শিলাবতী নদীর জল বাড়াল প্লাবিত হল ঘাটাল পুরএলাকা। জলে ডুবল রাস্তাঘাট। সেই নৌকা বা ডিঙি করে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই ভাবে দুর্ভোগ পুহিয়ে জনজীবন সচল রাখতে হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ঘাটাল পৌরসভার ৫,৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে কয়েকদিন আগেই শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল ঘাটাল পৌর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার জল আরও বাড়তে পারে সেই আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে ঘাটালের বানভাসি। বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বছর দূর্বা, চটি, গোমরাই-সহ বেশ কয়েকটি খালের সংস্কার করা হয়েছে। বর্ষার ঠিক আগে চন্দ্রেশ্বর এবং শালটোপা খাল দু’টিরও সংস্কার করে সেচ দফতর। ফলে বৃষ্টিপাতের আঙ্গিকে এইবছর বন্যার তীব্রতা কিছুটা হলেও কম বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের। অন্যদিকে বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবারের পরেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় রাজ্য নিজেই তা বাস্তবায়িত করবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী । গত মাসে ঘাটালে এসে সাংসদ দেব জানিয়েছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগোচ্ছে। জমি পরিমাপের কাজ শেষ এবং জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই প্ল্যান বাস্তবায়নের স্বপ্নই এখন ঘাটালবাসীর আশার আলো।
অপর দিকে চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের খসকিরা এলাকায় শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে কাঠের সাঁকো। ডুবে যাওয়া সাগর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত।গত কয়েকদনের নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়লেও তা ভয়াবহ আকার নেবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে সব দপ্তরকেই।