নিজস্ব সংবাদদাতা : মেসির ভারত সফরের প্রথম অনুষ্ঠান ছিল কলকাতায়। আর সেই কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে চরম বিশৃঙ্খলা হয়েছে তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এনিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে রবিবারই নিন্দা করা হয়েছে। এর জেরে মাথা নিচু হয়েয়ে কলকাতার। হাজার হাজার টাকা দিয়েও দর্শকরা মেসিকে দেখতে পারেননি বলে অভিযোগ। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মাঠ ছাড়তেই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় ব্যানার। তারপর ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। মেসির সঙ্গে যুবভারতীতে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

অব্যবস্থার অভিযোগে ইতিমধ্যে মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। যুবভারতী কাণ্ডের পর পদত্যাগ করতে চাইলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওই চিঠিতে অরূপ বিশ্বাস লিখেছেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্তের মর্মে আমি ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছে অব্যাহতি চাইছি।’ ওই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, গত ১৩ ডিসেম্বর লিওনেল মেসির যুবভারতীতে আগমনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তদন্ত চান বলেই তিনি অব্যাহতি চাইছেন। যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে একগুচ্ছ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মেনে সিট গঠন করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সেই সঙ্গে শোকজ করা হয়েছে বিধাননগরের কমিশনার মুকেশ কুমার, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব রাজেশ কুমার সিনহাকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধানগরের ডিসি অনীশ সরকারকে। বরখাস্ত করা হয়েছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সিইও দেবকুমার নন্দনকেও।