Skip to content

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মেদিনীপুরের অন্যতম নাম বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত! - সম্পাদক সমীপেষু

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। বিমল দাশগুপ্তের পরিবার আজও থাকে মেদিনীপুরে । তবে কেউ খোঁজ রাখেনি, এটাই তাদের আক্ষেপ । বিপ্লবীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে অনেকেই আসেন মূর্তির পাদদেশে । বক্তব্যও রাখেন । কিন্তু কেউ খোঁজ রাখেনি বিপ্লবীর পরিবারের । বাড়িতে বইয়ের তাকগুলিতে সাজানো রয়েছে "অগ্নিযুগ", "আমি নেতাজিকে দেখেছি", "চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহ" । রয়েছে ধুলোর আস্তরণ জমে যাওয়া একটা ঘড়িও । সেটি ব্যবহার করতেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত । ১৯২৮ সালে, সুভাষ চন্দ্র বসু বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের মেদিনীপুর শাখার দায়িত্ব দেন। দীনেশ গুপ্তের অক্লান্ত পরিশ্রমে মেদিনীপুর জেলার বিপ্লবী আন্দোলন অন্য মাত্রা পেল। দীনেশ গুপ্তের মন্ত্র শিষ্য হয়ে ওঠেন বিমল দাশগুপ্ত। লবণ আইনের অমান্য করার সময়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেমস পেডি, দিঘা সৈকতে সত্যাগ্রহীদের উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিলেন। প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবীরা পেডিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। জ্যোতিজীবন ঘোষের সঙ্গে এই দায়িত্ব পান বিমল দাশগুপ্ত। 1931 সালের 7 এপ্রিল, পেডি সাহেব মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী দেখতে এসে পেডি সাহেব এই দুই বিপ্লবীর গুলিতে নিহত হয়।। দুজনেই পালাতে সক্ষম হয়। বিমল দাশগুপ্ত আত্মগোপনে যান এবং ঝরিয়া এলাকায় একটি কয়লা খনিতে চাকরি পান এবং পরে কলকাতার মেটিয়াবুরোজে থাকতেন, পুলিশ তার সন্ধান করতে পারেনি। আবার বিমল দাশগুপ্তকে ক্লাইভ স্ট্রীটে ভিলিয়ার্স সাহেবের হত্যার ভার দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই, ১৯৩১ সালে তিনি ভিলিয়ার্সকে গুলি করেন তার অফিসে ঢুকে। কিন্তু ধরা পড়ে যান পকেট থেকে সায়ানাইড বের করার আগেই।সংগ্রামের এই দিনগুলোর কথা, আমাদের মহান বিপ্লবীদের কথা তাঁদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা আমরা যেন না ভুলি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের এই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ২৯শে এপ্রিল জন্মদিন স্মরণ করে অনেক শ্রদ্ধা ও প্রণাম।

Latest