Skip to content

"ঐতিহাসিক মন্দিরময় পাথরা "- দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে মন্দিরময় পাথরার ভগ্ন ৪২ টি মন্দির রক্ষার জন্য লড়াই!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রায় আড়াইশো বছরেরও পুরনো স্থাপত্য এবং মন্দির জনপদ পাথরা। মেদিনীপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই পাথরা গ্রাম।আঠারো শতকের শেষের দিক পর্যন্ত পাথরায় মন্দির নির্মাণ হতে থাকে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে " মন্দিরময় পাথরা " র ভগ্ন ৪২ টি মন্দির রক্ষার জন্য লড়াই করতে করতে এখন ইয়াসিন পাঠান ক্লান্ত। সম্প্রদায় পরিচয়ে তিনি মুসলিম৷ আর তাঁর ধ্যানজ্ঞান প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের সংরক্ষণ ৷ এ নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের গোঁড়াদেরই চক্ষুশূল হয়েছেন ৷ হার্ট ও কিডনির ব্লক রোগের দীর্ঘ কিছু বছর ধরে ভুগছে। ইয়াসিন পাঠান স্ত্রী ও অসুস্থ। ভূবনেশ্বরে চিকিৎসা চলছে। গত কুড়ি বছর আগে মন্দির সংলগ্ন জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। আজও সেই জমির গরীব চাষীরা জমির মূল্য পাননি। ইয়াসিন পাঠান কথায় এরা জমি ছেড়ে রেখেছেন। এই গরীর জমির মালিকদের অভিশাপে তিনি জর্জরিত।" মন্দিরময় পাথরা " য় ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারের আরকিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মন্দির সংলগ্ন ৯ একর ৯৭৫ ডেস্মূল জমি ( ২৫ ডেস্মূল কম ২৫ বিঘা) অধিগ্রহণ করেছিলেন। তারপর ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক এর পক্ষ থেকে ভেলুয়েশন করে (২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৭ টাকা) রাজ্য সরকারের সেক্টেটারী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে পাঠান। ২৯ মার্চ -২০২৩ ( চিঠি নম্বর - 716-ICA( w) আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, কলকাতা সার্কেল থেকে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারের অনুমতি চেয়েছিলেন। অধিগৃহীত জমির মূল্য দেওয়ার অনুমতি চেয়ে। গত ২৯ ডিসেম্বর -২০২৩ তারিখে আবার আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া উক্ত রাজ্য দপ্তর চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কি কারণে রাজ্য সরকার অনুমোদন করছেন না বুঝতে পারছি না। বিশেষ সূত্রে জানা গেল যে, এই বিষয়ে মাননীয়া মূখ্য মন্ত্রী মহাশয়া দপ্তরের ফাইল টি পাঠানো হওয়া সত্বেও অনুমোদন করা হয়নি। একাত্তর বছর বয়স হয়ে গেল তার । এই গুরুতর অসুস্থ শরীরে নিয়ে লড়াই করার তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।ঈশ্বর যে ক'দিন বাঁচিয়ে রেখেছে সেই ক'দিন নিজের কর্ম আর ধর্ম নিয়ে বাঁচতে চান তিনি । তিনি বলেন মৃত্যুর পর " যমরাজ কে তো বলতে পারব আমি "বেধর্মী" নই আমি সত্যিকারের একজন ধার্মিক মুসলমান।সেই কারণে আমি বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে, আজ থেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই সমস্যার সমাধান না করলে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবেই। এই জন্য দায়ী থাকতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে।

Latest