নিজস্ব সংবাদদাতা : কোচ বদল এ বার দুই দলেই হয়েছে। মোহনবাগানে যেমন জুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে এসেছেন আন্তোনিয়ো হাবাস, তেমনই মুম্বইয়ে ডেস বাকিংহামের বদলে কোচ হয়েছেন পিটার ক্রাতকি। ডুরান্ড কাপ জিতে মরসুম শুরু। পকেটে চলে এসেছে ISL লিগ-শিল্ড। তবে ফাইনাল জিতে ত্রিমুকুট নিয়ে মরসুম শেষ করতে চান মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সেই স্বপ্নে কাঁটা বিপক্ষের দুই খেলোয়াড়, যাঁরা অতীতে কলকাতায় খেলে গিয়েছেন। এক জন মুম্বইয়ের অধিনায়ক রাহুল ভেকে, যিনি অতীতে খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। আর এক জন জয়েশ রানে, যিনি মোহনবাগান জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ত্রিমুকুটের প্রসঙ্গ উঠতেই শুভাশিস বললেন, “প্রত্যেকটা ট্রফির জন্য সেরাটা দেওয়াই আমার কাজ। দল প্রচুর পরিশ্রম করেছে গত কয়েকটা মাসে। প্রত্যেকে ভাল দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ। এই ট্রফিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনটে ট্রফি জিততে পারলে দলের এবং সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ হবে।” অতীতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে গোল করা রাহুল ভেকে বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার কথা এখনও ভুলে যাইনি। এখন মুম্বইয়ে খেলি। আমার কাছে এই ম্যাচ আলাদা অনুপ্রেরণার। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় হিসাবে জানি, যুবভারতীতে নামার একটা আলাদা মজা রয়েছে। আমি তৈরি।” অনেকটা একই কথা শোনা গেল জয়েশের মুখেও। বললেন, “অতীতে মোহনবাগানের জার্সি পরতে পেরে সম্মানিত। এখন মুম্বইয়ের খেলোয়াড় হিসাবে ট্রফি জিততে চাই। সেটা ছাড়া কিছু ভাবছি না।”
গত ৩০ এপ্রিল দুপুর ১.১২ মিনিটে আইএসএলের তরফে পোস্ট করা হয়েছিল, ফাইনালের টিকিট ছাড়া হয়েছে। সে দিনই রাত ৯.৩০ মিনিটে জানানো হয়, সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তার পরেও চিন্তা তৈরি হয়েছে আদৌ শনিবার যুবভারতী ভরবে কি না তা নিয়ে।
এর প্রধান কারণ, ফাইনালের আয়োজক আইএসএল কর্তৃপক্ষ। আগের দু’টি ম্যাচে আয়োজক ছিল মোহনবাগান। তারা সমর্থকদের জন্য টিকিট ছেড়েছিল বেশি। কিন্তু ফাইনালে তা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সমর্থকদের জন্য অনলাইনে ৪০ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। ২০-২২ হাজার টিকিট পুলিশ, দুই ক্লাব এবং স্পনসরদের কাছে গিয়েছে। টিকিট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে কাড়াকাড়ি ইতিমধ্যেই লক্ষ করা গিয়েছে। শুক্রবারও যুবভারতী এবং মোহনবাগান তাঁবুতে টিকিট প্রত্যাশীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু সব টিকিটই ছাড়া হয়েছে অনলাইনে তাই মন খারাপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে অনেককেই ।