নিজস্ব সংবাদদাতা : চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে স্ত্রী কে হারিয়েছেন কিন্তু সেই ক্ষত এখনও সারেনি ঝাড়গ্রাম থানার রঘুনাথপুরের বছর বত্রিসের মঙ্গল মহাতর। পেট বেথার কারণে স্ত্রী সোনালী মহাতর ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। স্বামী মঙ্গল মাহাত স্ত্রির মৃত্যুর পরে এল আই সি অফিসের ঝাড়গ্রাম শাখায় ডেথ ক্লেমের সমস্ত নথী জমা করা সত্ত্বেও এবং বহুবার ইন্সুরেন্স অফিসে গিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নানান সাফল্য সমাজ মাধ্যমে দেখে যোগাযোগ করেন "অধিকার মিত্র" রীতা দাস দত্তের সাথে। রীতার মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক রিহা ত্রিবেদীর কাছে লিখিত আবেদন জানান মঙ্গল । মঙ্গলের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতেই রুজু হয় প্রী লিটিগেশান মামলা এবং নোটিস পাঠানো হয় ইন্সুরেন্স কতৃপক্ষকে। মামলা শুনানির আগের দিন সোমবার মঙ্গল ব্যাংক গিয়ে পাসবুক আপডেট করে দেখেন স্ত্রীর ক্লেমের ১৬৩৫৬৭/- টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে । আজকে মঙ্গলবার মামলার নিস্পত্তি করেন বিচারক। মঙ্গল আমাদেরকে জানান যে আমার চার বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে আছে , স্ত্রির ক্লেমের টাকা পাওয়ার জন্য বহুবার এল আই সির ঝাড়গ্রাম শাখা অফিসে গিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি উপরন্তু ইন্সুরেন্স কতৃপক্ষ ক্লেমের টাকা পাওয়ার জন্য আমাকে ডিভিশন অফিসে চলে যেতে বলেছিলেন। হটাৎ একদিন সমাজ মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের বিনা মূল্যে নানান পরিষেবা গুলো লক্ষ করি , যোগাযোগ করি "অধিকার মিত্রের" সাথে , আজকে আমার প্রায় আট মাসের সমস্যার সমাধান আবেদন জানানোর এক মাসের আগেই সমাধান হয়ে গেলো । টাকাটি মেয়ের উচ্চ শিখ্যার উদ্দেশেই জমা করে দিতে চাই । ধন্যবাদ জানান বিচারক মেডামকে।