ঝাড়গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা: নবগঠিত ঝাড়গ্রাম জেলা সাহিত্য অ্যাকাডেমির বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হলো ঝাড়গ্রাম শহরের অরণ্য সুন্দরী মহাসংঘ সভাগৃহে। রবিবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সভায় সবাইকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাকাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষেপে আলোচনা করেন অ্যাকাডেমির সহ সভাপতি, অনিমেষ সিংহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাকাডেমির সভাপতি বংশীমোহন প্রতিহার। আ্যাকাডেমির সাফল্য কামনা করে এবং আগামীদিনে অ্যাকাডেমির কীভাবে চলা উচিৎ এবং কোন কোন বিষয়ে অ্যাকাডেমির নজর দেওয়া প্রয়োজন,সেই সমস্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাহিত্যিক নলিনী বেরা, বিশিষ্ট লোক গবেষক ডঃ মধুপ দে, সাহিত্যিক ললিত মোহন মাহাতো,অধ্যাপক ফটিকচাঁদ ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমৃত নন্দী,অধ্যাপক লক্ষীন্দর পালোই, সাহিত্যিক মিহির দন্ডপাট, কবি খগেন জানা, কবি স্বপন মল্লিক, কবি বাসুদেব ঘোষ, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,অধ্যাপক সৌকত আলি শা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রানী মাহাতো সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত সাহিত্যিকগণ কবিতা পাঠ সহ সাহিত্য বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন। সকলে একে অপরের সাথে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঝাড়গ্রাম পৌর এলাকা সহ জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক উপস্থিত ছিলেন। অনিমেষ সিংহ বলেন, "জেলা জুড়ে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চাকে আরও সংগঠিত করে নতুনদের উৎসাহ দেওয়ার মধ্য দিয়ে পত্র-পত্রিকা প্রকাশ এবং আঞ্চলিক ভাষা সংস্কৃতি ও জেলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে নিয়ে বিস্তারিত চর্চার একটি সংগঠিত সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহন করার লক্ষ্যে আমাদের এই, ঝাড়গ্রাম জেলা সাহিত্য অ্যাকাডেমি গঠন করা।" সভাপতি বংশীমোহন প্রতিহার বলেন, " উপস্থিত সাহিত্যিকগণ, যাঁরা আমাদের ঝাড়গ্রাম জেলার অহংকারও বটে, তাঁদের সুচিন্তিত মতামত আমরা গ্রহন করে আগামীদিনে সমস্ত জেলা জুড়ে সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা চালিয়ে যাব। পত্রপত্রিকার সাথে সাথে নবীন-প্রবীন সকলের লেখা নিয়ে বই প্রকাশও হবে। " শিক্ষক দীপক কুমার বাড়ী, হিমাদ্রী গোস্বামী, সুমন বেরা, অনুপ সুঁই, শ্রেয়শ্রী ও সৌম্য মিলে ঝাড়গ্রাম জেলার কবি-সাহিত্যিকদের লেখা থেকে কিছু অংশ তুলে পোস্টার করে সমস্ত হলঘরটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছিলেন।বিশেষ কারণে উপস্থিত না থাকতে পারেননি অ্যাকাডেমির সম্পাদক প্রদীপ মাইতি। তিনি এক বার্তায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।